রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি: সিপিএমে এবার রক্তক্ষরণ। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করেছে সিপিএম নেতৃত্বের একটি বড় অংশ। কমিটি গঠন নিয়ে নিজের পেটোয়া লোক ঢােকানোর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে ইস্তফাও দিয়েছেন। গত বুধবার পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল যে মাঝপথে বৈঠক বন্ধ করে দিতে হয়। সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে মহম্মদ সেলিম দলীয় নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় ফিরে যান। তবে শিলিগুড়ি সিপিএমে বিদ্রোহ থামেনি। বরং বিদ্রোহের ধিকিধিকি আগুন এখনও জ্বলছে।
আরও পড়ুন-ভাঙা হবে বেআইনি হোর্ডিং
বিজেপি নেতাদের মতই শিলিগুড়ি সিপিএমের হোয়াসআপ গ্রুপ ত্যাগ করা শুরু হয়েছে। পার্টি অফিসে অনেকেই আর যাচ্ছেন না। সামনেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যেভাবে দলীয় বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাতে প্রশ্ন উঠেছে শেষ পর্যন্ত জিটিএ ও মহকুমা পরিষদে প্রার্থী দিতে পারবে সিপিএম? এসবই এখন আছড়ে পড়েছে হোয়াটস আপ গ্রুপে। সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সভাপতি শচীন খাতির নাম থাকায় প্রতিবাদে সরব হয় যুবরা। এছাড়াও সিপিএমের বর্ষিয়ান নেতা মুকুল সেনগুপ্তকে সম্পাদক মন্ডলিতে না রাখায় ঝামেলা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্ক বেসরকারীকরণ, কেন্দ্রকে তোপ মন্ত্রীর
সেদিনই সিপিআইএমের জেলা নেতা পার্থ মৈত্র পদত্যাগ পত্র জমা করেছে। এরপরে শনিবার মুকুল সেনগুপ্ত সিপিআইএমের জেলা কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। হঠাৎ করে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে সিপিআইএমের অন্দরমহলে। এমনকি এই খবর পৌঁছে গিয়েছে কলকাতায় অলিমুদ্দিনেও। তবে এই বিষয়ে মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার বিশ্রাম প্রয়োজন তাই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলাম।