সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : মুখ্যমন্ত্রীর জেলাসফর মানেই উন্নয়নের বার্তা। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছে পুরুলিয়া (Purulia)। পাশাপাশি তিনি এসে কাজের খতিয়ান চাইবেন নেতা-মন্ত্রীদের কাছে। তাই সবাই দিনরাত হোমওয়ার্ক করছেন, রিপোর্ট কার্ড তৈরি করতে। শহরের ভিক্টোরিয়া স্কুল ময়দানে হেলিকপ্টার থেকে নেমে রবীন্দ্রভবনে যাওয়ার কথা। বিকেলে প্রশাসনিক বৈঠক। থাকবেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার-সহ জেলা প্রশাসনের সমস্ত বিভাগের আধিকারিক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও কর্মাধ্যক্ষরা, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, বিধায়করা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক প্রশাসনের কর্তা ও পঞ্চায়েত প্রধানরা। এজন্য রবিবারই প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। রবিবার দিনভর চূড়ান্ত ব্যস্ততা দেখা গেল জেলায়। মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রাক্তন জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু দিনভর কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করলেন। শুনলেন এলাকাভিত্তিক সমস্যা ও উন্নয়নের কথা। মন্ত্রী সন্ধ্যারানি বললেন, ‘‘দিদির কাছে মানুষের কথা তো বলতেই হবে। তাই প্রস্তুত থাকছি।’’
শহর পুরুলিয়ায় (Purulia) স্বনির্ভর দলগুলির উৎপাদিত সামগ্রী কেনাবেচার একটি বিপণি চালু করলেন পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়ায় পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। ইতিমধ্যে শহরে জলসরবরাহ বেড়েছে। বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সভা থেকেই নতুন একটি পানীয় জলের ওভারহেড ট্যাঙ্ক উদ্বোধন করবেন। সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সারা জেলায় সবুজায়ন, কর্মসংস্থান ও জলের ব্যবস্থা করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা তিনটি ক্ষেত্রেই উল্লেখনীয় সাফল্য পেয়েছি। পুরো তথ্য দিদির হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা, তালিকায় চার ভারতীয়