প্রতিবেদন : রাতারাতি উপরে ওঠার ঝোঁক, পেশাগত চাপ, নেশা, নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েন, কেন এভাবে অকালে নিজেদের শেষ করে দিচ্ছেন কমবয়সি উঠতি মডেল- অভিনেত্রীরা, উঠছে প্রশ্ন। কসবার উঠতি মডেল সরস্বতী দাসের মৃত্যুর ঘটনায় ফের সেই প্রশ্নই উঠছে। রবিবার সরস্বতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় নিজের ঘর থেকে। মেকআপের কাজ জানা ১৯ বছরের সরস্বতী সম্প্রতি মডেলিংও শুরু করেছিলেন। মৃত সরস্বতীর মামার দাবি, প্রতিদিন রাতে সরস্বতী ঘরের দরজা বন্ধ করে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। কথা বলার সময় কয়েকদিন তাঁকে কাঁদতেও দেখেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকার শিবিরে পড়ুয়ারা
মামার সন্দেহ, প্রতিরাতে ফোন করে কেউ ভাগ্নিকে হুমকি দিত। এরই মধ্যে সরস্বতীর এক প্রতিবেশী তাঁকে ক’দিন আগে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরতে দেখেছিলেন। ঘটনার ঠিক আগেরদিন রাতে বাড়ি ঢুকে সরস্বতী খাওয়াদাওয়া সেরে নিজের ঘরে চলে যান। সরস্বতীর মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখান থেকে কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না এখনও সেই চেষ্টাই করছে পুলিশ। মৃতার একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে পরিষ্কার, তিনি মানসিক টানাপোড়েনে ভুগছিলেন। সেই পোস্টে সরস্বতী লেখেন, ‘যেটা খুব সহজেই পাওয়া যায়, সেটা হল ধোঁকা, যেটা খুব কষ্ট করে পাওয়া যায় সেটা হল সম্মান, যেটা হৃদয় থেকে পাওয়া যায় না সেটা হল ভালবাসা…।’
আরও পড়ুন-দেশের লজ্জা আট বছর
পরিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ের সঙ্গে মামাবাড়িতে থাকতেন সরস্বতী। করতেন প্রাইভেট টিউশনিও। আঁকা শেখাতেন। কিন্তু স্বপ্ন ছিল মডেল হওয়ার। পুলিশের দাবি, এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সেই যুবকের খোঁজ চলছে এখন। ঘটনার পর মৃতার ঘর থেকে একটি চিরকুট মিলেছে। সেখানে সরস্বতী মাকে লিখেছেন, ‘মা, আমি তোমায় খুব ভালবাসি।’ এর পাশাপাশি আর এক মডেল ও টেলিঅভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যুর তদন্তে পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলাকে তলব করে পুলিশ। কিন্তু অসুস্থতার দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান ঐন্দ্রিলা।