মাদ্রিদ, ৩০ মে : পনেরো বছর অনেক লম্বা সময়। হার-জিত, উত্থান-পতন। নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এবার বিদায়ের পালা মার্সেলো (Marcelo) , বেলদের।
বিদায়বেলায় মার্সেলোর হাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। চোখে জল। ফ্যানেদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘‘জীবনের খুব সুন্দর মুহূর্ত এটা। আমি বৃত্ত সম্পূর্ণ করলাম। এটাই বিশ্বের সেরা ক্লাব। আজ দুঃখের দিন নয়। বড় আনন্দের দিন। আমরা আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলাম। বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট এটা।”
হুড খোলা বাসে চড়ে রিয়াল ফুটবলাররা গোটা মাদ্রিদ ঘুরলেন। মার্সেলো (Marcelo), বেঞ্জেমারা মাঝে থামলেন আলমুদেনা ক্যাথিড্রাল, সিটি হল, প্লাজা সিবেলেসে। তারপর সোজা স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে। উৎসবের আবহে সামান্য তাল কাটল মার্সেলোকে সমর্থকদের সামনে তুলে ধরার পর। ফাইনালেই এই ক্লাবে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন এই ব্রাজিলীয়। পনেরো বছরে জিতেছেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
আরও পড়ুন: নীরজের লক্ষ্য
রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফিওরেন্তিনো পেরেজ বললেন, ‘‘রিয়াল মাদ্রিদ আবার ইতিহাস গড়ল। লিভারপুলের মতো দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় ইতিহাসে উঠে গেল।” কোচ আনচেলোত্তির সম্পর্কে পেরেজ বলেছেন, তিনি রিয়ালের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। বাসে রিয়াল ফুটবলারদের জামায় লেখা ছিল ১৪। রিয়াল এই নিয়ে ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে। জার্সির পিছনে লেখা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স।
ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ থিবো কুর্তোয়া জানালেন, তিনি কাপ জয়ের রাতে ঘুমোতে পারেননি। কয়েক হাজার সমর্থক হাজির হয়েছিলেন প্রিয় নায়কদের অভিনন্দন জানাতে। মার্সেলো ট্রফি তুলে ধরতেই জনতা হইহই করে উঠল। ইডেন হ্যাজার্ড দাবি করলেন, চোটের দিন শেষ। আগামী মরশুমে সেরাটা দেবেন। মার্সেলোর মতোই এবার বিদায় গারেথ বেলেরও। তিনি বললেন, ‘‘আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। কী দারুণ একটা মরশুম কাটালাম।” তাঁর মতোই আর রিয়ালে দেখা যাবে না ইস্কোকেও।