সংবাদদাতা, বনগাঁ : মৌচাকে ঢিল ছুঁড়ে দলে কাঁপুনি তুলে দিয়েছেন বিজেপির এক জেলা নেতা। তাঁদের দলে যে আর্থিক দুর্নীতি চলে তা ফাঁস করেন ওই নেতা। ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত ৪১ জন দলের ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি বলে সরাসরি সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানিয়ে টাকা তছরুপ নিয়ে সোচ্চার হন তিনি।
আরও পড়ুন-ধর্মীয় সার্কিট গড়ে পর্যটন
গোটা বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ্যে এনে তদন্তের দাবি তোলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি মনস্পতি দেব। ফলে তুমুল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। দায় এড়াতে মুখে কুলুপ দলের নেতাদের। রবিবার ওই পোস্টে মনস্পতি দেব ৪১ জনের নামের তালিকা দিয়ে দাবি করেন, টাকা বরাদ্দ হওয়ার পরেও আক্রান্তরা ক্ষতিপূরণ পাননি। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এদের জন্য ক্ষতিপূরণের টাকা এসেছিল, কিন্ত এরা পায়নি। এখানে মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে যে কেউ ভেরিফাই করতে পারেন। এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত।’ এ প্রসঙ্গে মনস্পতি দেব বলেন, ‘‘আমি সেই সময় জেলা সভাপতি ছিলাম। তাই সবাই আমাকে বলছে৷ রাজ্য বলছে টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। তাহলে টাকা কোথায় গেল, তার তদন্ত হওয়া দরকার।’’
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ায় ফিল্মসিটি
দলের নেতার এই অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করব না।’’ দলের বর্তমান জেলা সভাপতি রামপদ দাস জানান, ‘‘কারও ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না।’’ বিজেপির অন্দরের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বরাদ্দ টাকা তছরুপ হওয়ার খবরে কর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও নেতাদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠ এ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘সিবিআই ও ইডি তদন্ত করে দেখতে পারে।’’