প্রতিবেদন : গার্হস্থ্য হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে নারী সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল দেশের শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, যে কোনও বিবাহিত মহিলার তাঁর পিতা–মাতার বাড়ির পাশাপাশি শ্বশুরবাড়িতে থাকার পূর্ণ অধিকার আছে। কোনও মহিলাকে পছন্দ করতে না পারার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া যায় না৷ এই কাজে আদালতও অনুমতি দিতে পারে না৷ শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অজয় রাস্তোগি ও বিচারপতি বি ভি নাগারথনার অবকাশকালীন বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছে।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় অবাধ ভোট চাই, কমিশনে দাবিপত্র তৃণমূলের
বেঞ্চ জানিয়েছে, একজন নারীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া আদালত কখনওই অনুমোদন করে না। বরং আদালত মনে করে, বৈবাহিক কিছু ঝামেলার কারণে কোনও মহিলাকে দায়ী করা বা শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে বের করে দেওয়ার মনোভাবের কারণেই পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। বিচারপতি নাগারথানা বলেছেন, যদি কোনও পরিবার মনে করে যে, একজন মহিলার দুর্ব্যবহারের জন্য বাড়িতে অশান্তি হচ্ছে সেক্ষেত্রে আদালত সংশ্লিষ্ট মহিলাকে বাড়িতে কোনও অশান্তি না করার নির্দেশ দিতে পারে। কিন্তু বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া সমর্থন করতে পারে না৷ উল্লেখ্য, গার্হস্থ্য হিংসার এক মামলায় সংশ্লিষ্ট মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল বোম্বে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-কলকাতায় প্রয়াত কে কে, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
হাইকোর্টের পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালও মহিলাকে একই নির্দেশ দিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে ওই মহিলা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর আগে চলতি মাসের ১২ তারিখে গার্হস্থ্য হিংসা সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি নাগারথনা প্রায় একই নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি বলেছিলেন, একজন মহিলা তিনি যে কোনও ধর্মের বা সামাজিক অবস্থানের নিরিখে যে কোনও পরিচয়ের হতে পারেন। কিন্তু তাঁর পৈতৃক বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি দুই জায়গাতেই বসবাসের অধিকার ও সম্পত্তির অধিকার রয়েছে৷