চন্দন মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া: কিছুদিন আগে ভুয়ো বিল পেশ করে ঠিকাদারদের কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগে শিরোনামে আসে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল। ফের অভিযোগ রোগীখাদ্য সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। আচমকা কিচেনে হানা দিয়ে চোখ কপালে মহকুমা শাসক জামিল ফতিমা জেবা, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, সুপার শৌভিক আলমদের। বৃহস্পতিবার রোগীখাদ্যের তালিকায় ছিল মাছ। বদলে দেওয়া হয় পচা ডিম। সবজির মানও তথৈবচ। বরাদ্দ খাবারের পরিমাণ কম।
আরও পড়ুন-আক্রান্ত সোনিয়া
চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২৪০ হলেও ভাত যা রাঁধা হয় তাতে ১০০ জনেরও কুলোবে না। এসব দেখেশুনে তাঁরা জানান, রোগীকল্যাণ সমিতির পরবর্তী বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিকাদার শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, ‘বাজারে মাছ ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই ডিম দিতে হল। আর এমন হবে না।’ এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ ওঠায় সরজমিনে দেখতে গিয়ে হাতেনাতে প্রমাণ মেলায় বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘নিম্নমানের খাবার দিয়ে সরকারের লাখ লাখ টাকা লুট করা চলবে না। ওই ঠিকাদারকে শো-কজ করা হবে। উত্তর কী মেলে দেখে তারপর ব্যবস্থা।’
আরও পড়ুন-আক্রান্ত সোনিয়া
সুপার বলেন, ‘ঠিকাদারের কাছে মুচলেকা চাওয়া হয়েছে। রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ ওই ঠিকাদার নিয়মনীতি না মেনে হাসপাতালের মধ্যে নিয়মিত নিজের টোটো চার্জ করেন বলে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ টোটোটি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর কোনও বেআইনি কাজে তিনি জড়িত কিনা, খোঁজখবর নিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।