প্রতিবেদন : কে. কে-র মৃত্যু নিয়ে আয়োজক ও পুলিশ-প্রশাসনকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল। শনিবার নয়াদিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, সেদিন কে. কে-র অনুষ্ঠানে কোনও রিস্ক ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা ছিল না। হলে কত দর্শক ঢুকবেন, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত ছিল। সংকটের সময় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের এই অভিযোগের পরই তাঁকে পালটা দেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে কে. কে-র
তিনি রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যপাল যদি জানতেন, কে. কে অসুস্থ হয়ে পড়বেন তাহলে তা আগে প্রশাসনকে জানালেন না কেন? ফের তিনি জোরের সঙ্গেই বলেন, এটা নেহাতই একটা দুর্ঘটনা। এ নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে রাজ্যপাল আরও বলেন, আমার হৃদয় কাঁদছে। এর থেকে বেশি অব্যবস্থা আর হতে পারে না। এটা পুরোপুরি অনুষ্ঠান ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতা। যদি খতিয়ে দেখা হয়, তাহলে বোঝা যাবে যাঁদের সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব ছিল, যাঁদের লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ছিল, তাঁরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এটা কোনও ভাবেই মানা যায় না। যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা এখন তা এড়াতে পারেন না। রাজ্যপালের মন্তব্যের পরই সমালোচনার সুরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, উনি কী বলতে চান তা সবসময় বোঝা যায় না। তবে যে ভাষায় উনি কথা বলছেন, তাতে অবিলম্বে বিরোধী নেতার পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে ওঁকে বসানো উচিত। কে. কে-র মৃত্যু একটা দুর্ঘটনা ছাড়া কিছু নয়। স্টেজে ওঁর শরীর খারাপ ছিল এমন কোনও প্রমাণ নেই।