প্রতিবেদন: চলতি মাসের আগামী ৭ ও ৮ তারিখ রাজ্যে দু’দিনের সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। গোষ্ঠীকোন্দল ও ঝগড়াঝাঁটিতে জীর্ণ বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন দিতে নাড্ডার এই বাংলা সফর। এমনই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তবে রাজ্যে দলের যা হাঁড়ির হাল তাতে সর্বভারতীয় সভাপতি এসে কতটা কী করতে পারবেন সেটা নিয়ে দলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যের ‘শিক্ষানবীশ’ সভাপতি ও ‘লোডশেডিং’ বিরোধী নেতার কথা শুনতে আর রাজি নয় নীচুতলার কর্মীরা। তাঁরা প্রকাশ্যেই বিদ্রোহ করেছেন এই দু’জনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক : মেয়র
কেউই আর বিজেপি করতে চাইছে না। এই অবস্থায় নাড্ডা এসে কী করবেন, কার সঙ্গে কথা বলবেন সেটাই দেখার। শোনা যাচ্ছে দু’দিনের সফরে বঙ্গে বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সভা করবেন জেপি নাড্ডা। কিন্তু যা অবস্থা তাতে বুথস্তরের কর্মী কোথা থেকে মিলবে সেটাই এখন রাজ্য নেতাদের আসল মাথাব্যথা। কারণ, বুথস্তরের কর্মীরা নয় দল ছেড়েছেন অথবা বসে গিয়েছেন, ফলে নাড্ডার সামনে শিক্ষানবীশ সভাপতি কাদের হাজির করাবেন সেটাও দেখার। শোনা যাচ্ছে নাড্ডার সভার জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ দলের কর্মীই নয়। তাই সভাপতি ও বিরোধী নেতা এখন মুখ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে কর্মী খোঁজায় ব্যস্ত।
আরও পড়ুন-হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে কে. কে-র
এরই মধ্যে নাড্ডার সফরের ঠিক আগে, শনিবার বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য বিজেপি। এদিন দেউচা পাঁচামির পঞ্চায়েত সদস্যরা সদলবলে যোগ দিলেন তৃণমূলে। নাড্ডার সফর নিয়ে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, জেপি নাড্ডার সাংগঠনিক বৈঠক আসলে গরুর গাড়ির হেডলাইট। তিনি কি জানেন যাদের নিয়ে বৈঠক করছেন তাঁরা ৩ মাস পর দলে থাকবেন কিনা ? ৮০ শতাংশ লোক বিজেপিতে থাকতে চান না। আদি, তৎকাল, পরিযায়ীদের লড়াই ছাড়া বিজেপিতে আর কিছুই নেই।