সংবাদদাতা, কাঁথি : একটি দুষ্কৃতীচক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো নোটিশ ছড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টাও করছে। অভিযোগ তুলল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অভিযোগের তির বিজেপির ছাত্র সংগঠনের দিকে। অভিযোগ যে অমূলক নয়, তা স্বীকার করেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই চক্রের দুষ্কৃতীরা উপাচার্য শিবাজিপ্রতিম বসু-সহ কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশন ও রেজিস্ট্রারকে প্রতিদিন বেনামা ই-মেল থেকে দুশো-আড়াইশো ভুলভাল আবেদন পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত করছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে প্রকাশ।
আরও পড়ুন-মানবিক পুলিশ, মুগ্ধ অভিযুক্তের স্ত্রী বিলকিস
উল্লেখ্য, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ৫৪টি কলেজকে ১৫ মে একটি নোটিশ পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, সিবিসিএস সিস্টেমে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ষষ্ঠ, চতুর্থ ও দ্বিতীয় সেমিস্টার ছাত্রছাত্রীদের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনের মাধ্যমে নেওয়া হবে।
এরপর ৫ জুন, রবিবার হঠাৎ একটি নোটিশ ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নামে বলা হয়েছে, আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ষষ্ঠ, চতুর্থ ও দ্বিতীয় সেমিস্টার ছাত্রছাত্রীদের ফাইনাল পরীক্ষা অফলাইনের মাধ্যমে নেওয়া হবে। এতেই হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে নতুন নোটিশ নিয়ে খোঁজখবর নেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ছাত্রনেতারা দেখেন, নতুন নোটিশটি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নেই। অবশেষে জানা যায়, সেটি ভুয়ো নোটিশ।
আরও পড়ুন-প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে নজির বিদ্যামন্দিরের
৫ জুন রাতেই তড়িঘড়ি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির সদস্য আবেদ আলি খান ই-মেল করে উপাচার্যকে জানান ব্যবস্থা নিতে। উপাচার্য বলেন, “আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে আগে আমাদের ছিল অফলাইন পরীক্ষার নোটিশ। সেটা পরে অনলাইন হয়েছে। ব্লেন্ডেড মুডে হবে। থিওরিটিক্যাল পরীক্ষা হবে অনলাইনে, আর প্র্যাকটিক্যাল অফলাইনে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট থিওরিটিক্যাল ও প্র্যাকটিক্যাল সবটাই অফলাইনে হবে।”