প্রতিবেদন : কলকাতা পুরসভা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় নড়চড়ে বসল মেট্রোরেল। ইএম বাইপাসের ধারে নিকাশি খাল পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিল কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন। দরজায় কড়া নাড়ছে বর্ষা। কলকাতা মহানগরীকে জলডুবি সমস্যামুক্ত করতে এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুরসভা। কিন্তু সমস্যা সমাধানের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের জন্য।
আরও পড়ুন-সুনীলকে ছাড়াই খেলা শিখতে হবে : স্টিমাচ
আরও স্পষ্ট করে বললে, কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য ইএম বাইপাস এবং লাগোয়া বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নিকাশি-ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। যার প্রভাব পড়ছে যাদবপুর পর্যন্ত। বুজে গিয়েছে কালিকাপুরের খালের অনেকটা অংশ। কবি সুভাষ-এয়ারপোর্ট লাইনে মেট্রোর কাজের জন্যই এই বিপত্তি। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। পুরসভার নিকাশি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তারক সিং কিছুদিন আগে এলাকায় ঘুরে সমস্যা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট পেশ করেন মেয়রের কাছে। পুরসভা সেই রিপোর্ট পেশ করে নবান্নে। মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম সমস্যার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বারবার মেট্রোরেল কর্পোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন-মানতে পারছি না নেই, ট্যুইট রাহুলের
বিশেষ করে কালিকাপুর এলাকায় নিকাশি খাল বুজে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। কিন্তু জটিলতা কাটেনি। শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। ফলে নড়েচড়ে বসেছে মেট্রোরেল। নিকাশি খাল পরিষ্কারের জন্য ১৫ দিন সময় চেয়ে নিয়েছে তারা। কিন্তু পুরসভার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্ষা আসার আগেই মেট্রোরেলের নির্মাণকারী সংস্থা নিকাশি খাল পরিষ্কার করে না দিলে এবারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।