প্রতিবেদন : ক্রমশ ফুরিয়ে যাচ্ছে অস্ত্র ভাণ্ডার। ত্রাণ সামগ্রীও অমিল। মিলছে না ওষুধপত্র। প্রবল দূষিত পরিবেশে ছড়াচ্ছে রোগ৷ এই অবস্থায় আমেরিকা ও পশ্চিমি দেশগুলির কাছে সাহায্যের আর্জি জানাল ইউক্রেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস যুদ্ধ করার পর একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। দেশে চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে মারণরোগ। মারিউপোলের মতো শহরে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে যে, মৃতদেহ সরানোর লোক মিলছে না। রাস্তার ধারে পড়ে পচছে দেহ। দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই ধরনের দূষণ থেকেই সংক্রামক রোগ ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারিউপোল শহরের মেয়র জানিয়েছেন, যুদ্ধে মৃতদের দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে কুয়োয়। ফলে কুয়োর জলও দূষিত হয়ে পড়েছে। যারা ওই জল পান করছেন তাঁরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কলেরার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে (Volodymyr Zelenskyy) তাঁরা আগেই সতর্ক করেছিলেন। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা করছে সেটা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেও সতর্ক হননি জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ইউক্রেনে এসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভনডের লিয়েন। শনিবার তিনি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এসে পৌঁছান। যুদ্ধ চলাকালীন দ্বিতীয়বার তিনি কিয়েভ এলেন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলতেই কিয়েভ পৌঁছেছেন উরসুলা। ২৩ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আধিকারিকরা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসবেন। সেখানেই কিয়েভের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। কিয়েভ পৌঁছানোর পর ট্যুইট করে তাঁর আসার খবর জানান ইইউ প্রধান। একইসঙ্গে ইইউ প্রধান জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পুনর্গঠনে তাঁরা যাবতীয় সাহায্য করবেন। ইউক্রেনের যে সমস্ত মানুষ পেশাগত কারণে রাশিয়ায় থাকেন শনিবার তাঁদের পাসপোর্ট দেওয়া চালু করল রাশিয়া। অন্যদিকে, এদিনই রাশিয়া নতুন করে দক্ষিণ ইউক্রেনের উপর আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন: বিজেপির বুলডোজার মন্তব্য, অশান্তি