প্রতিবেদন : শুধুমাত্র দায়সারা কাজ নয়, নাগরিকদের কাছে প্রমাণ করতে হবে নিজেদের দায়বদ্ধতাও। কাজ করতে হবে মানুষের জন্য, তাঁদের কাছে গিয়ে। কাজ শেষ করতে হবে দ্রুত। কলকাতা পুরসভার সবস্তরের কর্মীদের প্রতি এই বার্তা বারবারই দিচ্ছেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এবারে তাঁরই নির্দেশে কর্মসংস্কৃতির উন্নতির জন্য কড়া পদক্ষেপ করছে পুরকর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগেই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বকেয়া কর আদায়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন আধিকারিকরা। বুঝিয়ে শুনিয়ে বকেয়া কর আদায় করবেন তাঁরা। এবারে সিদ্ধান্ত, কর্মসংস্কৃতির উন্নতির লক্ষ্যে দফতরে দফতরে সারপ্রাইজ ভিজিট দেবেন পুরসভার পদস্থ আধিকারিকরা। মহানগরীর বিভিন্ন পুরসভা-অফিসে আচমকাই হাজির হতে হবে শীর্ষ অফিসারদের। পুরকর্মীদের কাছ থেকে নাগরিকরা ঠিকমতো কাজ পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখবেন। কর্মীদের হাজিরার বিষয়টাও লক্ষ্য রাখবেন তাঁরা। তারপরে মেয়রের (Mayor Firhad Hakim) কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এ-ব্যাপারে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। জানানো হয়েছে, সারপ্রাইজ ভিজিটে যাবেন দুই বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরি, সোমনাথ দে, পুরসচিব হরিপ্রসাদ মণ্ডল, চিফ মিউনিসিপাল ফিনান্স অফিসার অর্কদেব ভাদুড়ী। মাসে ৪-৫টি অফিসে আচমকা পরিদর্শন করবেন তাঁরা। কাজকর্মের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তাঁরা কথা বলবেন সংশ্লিষ্ট অফিসের বিভিন্ন স্তরের অফিসার এবং কর্মীদের সঙ্গে। জানবেন সুবিধে-অসুবিধের কথা। সময়সীমা মেনে নিখুঁতভাবে কাজ করার ব্যাপারে মোটিভেটেড করবেন তাঁদের। কথা বলবেন নানা প্রয়োজনে আসা সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গেও। পুরসভাসূত্রে জানানো হয়েছে, মোট ৩২টি বিষয় নিয়ে একটি ফরম্যাট তৈরি করে দিয়েছেন কমিশনার নিজে। কোন অফিসে ভিজিট করা হচ্ছে, তারিখ, স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মী-সংখ্যা, তাঁরা কোন দফতরে কাজ করছেন, আরও কর্মীর প্রয়োজন আছে কিনা, পরিকাঠামো কেমন— এই ধরনের নানা বিষয় নিয়ে তৈরি করতে হবে বিস্তারিত রিপোর্ট। এর উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে পু্রকর্তৃপক্ষ। মোদ্দাকথা, শুধু অফিসে বসে দায়সারা চাকরি নয়, কাজ করতে হবে মানুষের কাছে গিয়ে, মানুষের সঙ্গে। মহানগরীর নাগরিকদের স্বার্থেই চাই আরও উন্নত কর্মসংস্কৃতি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা বই কর্মীদের উপহার বিধায়কের