সংবাদদাতা, হুগলি : গ্রামের পুকুরের মিষ্টি জলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মুক্তোচাষ। ডুমুরদহ-১ পঞ্চায়েতের টাকিপাড়া গ্রামে। গোলাকৃতি নয়, এই মুক্তোর কোনওটা অশোকস্তম্ভ, কোনওটা মাদুর্গা, গণেশ বা হাতির আদলে। ২৪ মাসে ধীরে ধীরে তৈরি হয় এই মুক্তো। সরকারি প্রকল্পের অধীনে ডুমুরদহ ফিশারম্যান কোঅপারেটিভের মহিলারা মিষ্টিজলে মুক্তোচাষ করছেন।
আরও পড়ুন-জোগাড়েপুত্রের ছেলে ত্রয়োদশ
ওড়িশার বালেশ্বর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে ২০১৮ সালে শুরু। মিষ্টিজলের ঝিনুকে অস্ত্রোপচার করে দু-তিন রকম দ্রবণ মিশিয়ে ছাঁচে ফেলে তৈরি করা নিউক্লিয়াস ঢুকিয়ে সাতদিন ওষুধ মেশানো জলে রেখে দেওয়া হয়। তারপরে এক-একটি খাঁচায় ৪০টি করে ঝিনুক ভরে পুকুরে নামিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিটিতে দুটি করে মুক্তো হচ্ছে। এই মুক্তোর পোশাকি নাম ডিজাইনার পার্ল বা ইমেজ পার্ল। ঝিনুক-সহ মুক্তো রাজস্থান, সুরাট ইত্যাদি জায়গায় যায়। মুক্তো বের করে পালিশ করে হচ্ছে গয়না। পাইকারি বাজারে একটি মুক্তোর দাম ২০০-২৫০ টাকা। এই মুক্তোচাষে আলাদা করে খরচ খুব বেশি নয়। গ্রামের মহিলারা প্রশিক্ষণ নিয়ে এতে স্বনির্ভর হতে পারবেন। বাজারে ইমেজ পার্লের চাহিদা খুব বেশি। মুক্তোচাষে ভরতুকিও দেওয়া হচ্ছে।