প্রতিবেদন : নির্বাচনী সংস্কার সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে জানাল নির্বাচন কমিশন। দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আইনমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। রাজীব কুমার তাঁর চিঠিতে প্রস্তাব দিয়েছেন, জনমত যাচাই ও বুথফেরত সমীক্ষা নিষিদ্ধ করা হোক। কারণ জনমত সমীক্ষা ও বুথফেরত সমীক্ষা নির্বাচনের মৌলিক ধারণার পরিপন্থী। জনমত সমীক্ষা মানুষের রায়কে প্রভাবিত করতে পারে। বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল জানার পর থেকে সাংসদ ও বিধায়ক কেনাবেচার প্রস্তুতি শুরু হয়। রাজীব কুমার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কমিশনের নেই।
আরও পড়ুন-হনুমানের কামড়ে হাসপাতালে ২০
সরকারকেই সংসদে বিল এনে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করে এ ধরনের সমীক্ষা নিষিদ্ধ করতে হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও প্রস্তাব দিয়েছেন, একজন প্রার্থী কেবল একটি কেন্দ্রেই লড়াই করতে পারবেন। একজন একাধিক কেন্দ্রে লড়াই করে জিতে গেলে তাঁকে একটি কেন্দ্র ছাড়তে হয়। ওই কেন্দ্রে কয়েক মাসের মধ্যেই পুনর্নির্বাচন করতে হয়। যা যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ। তাই কোনও প্রার্থী কেবলমাত্র একটি কেন্দ্র থেকেই লড়তে পারবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে খোদ নরেন্দ্র মোদিই গুজরাতের ভদোদরা কেন্দ্রের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বারাণসী কেন্দ্রটি হাতে রেখে দেন৷ ফলে গুজরাতের ভদোদরায় পুনর্নির্বাচন করাতে হয়৷
আরও পড়ুন-রবিবার মেট্রো বাড়ছে
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার তাঁর প্রস্তাবে জানিয়েছেন, ২ হাজার টাকার বেশি কেউ কোনও রাজনৈতিক দলকে চাঁদা হিসেবে দিলে দাতার নাম জানাতে বাধ্য থাকবে দলগুলি। বর্তমান নিয়মে ২০ হাজার বা তার বেশি টাকা চাঁদা দিলে তবেই দাতার নাম জানাতে হয় রাজনৈতিক দলগুলিকে। রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎসের উপর নজরদারি চালানোর লক্ষ্যেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণের পরই আইন মন্ত্রককে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজীব কুমার। নির্বাচন কমিশনার আরও জানিয়েছেন, বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব শুধু কাগজে। আয়করের হাত থেকে রেহাই পেতেই ধরনের কাগুজে দল তৈরি করা হয়। তাই কোনও রাজনৈতিক দলকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হোক।