কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: স্কুল তাঁর কাছে নিছক কর্মক্ষেত্র নয়, ভালবাসারও জায়গা। তাই নিজের বেতনের ৫২ হাজার টাকা দিয়ে পড়ুয়াদের বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বেলডাঙার আন্ডিরন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত। পাশাপাশি বিবাহবার্ষিকীর দিন মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধও হলেন বিশ্বজিৎ ও তাঁর স্ত্রী শতাব্দী।
আরও পড়ুন-আলুতে রঙ করা ঠেকাতে অভিযান
বেলডাঙা চক্রের পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তের ওই সামাজিক উদ্যোগে খুশি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রধান শিক্ষকের এই উদ্যোগে উৎসাহিত হয়ে আরও তিন সহকারী শিক্ষক নিজেদের টাকা দিয়ে দুটি শ্রেণিকক্ষকে নান্দনিক করে তুলছেন। বিদ্যালয়টি ২০১৯ সালে শিশুমিত্র বিদ্যালয় পুরস্কার পেয়েছে। বিশ্বজিৎ ২০১৮-য় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েই বিদ্যালয়কে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত নিজের পকেট থেকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে বেলডাঙা চক্রের আদর্শ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেছেন। ৩০টির বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসে নামও উঠেছে তাঁর।
আরও পড়ুন-পিত্তথলির ক্যান্সারে জটিল অস্ত্রোপচার, প্রাণ বাঁচল প্রৌঢ়ার
ওই শিক্ষক এবার মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন। পাশে পেলেন সহধর্মিণী শতাব্দী দত্তকে। এদিন বিশ্বজিৎ বলেন, কিছু করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চললে অনেক সমস্যা হয় দূর হয়। সামাজিক দায়িত্ব প্রত্যেকের থাকা উচিত। সে-কারণেই জীবনের বিশেষ দিন ১৯তম বিবাহবার্ষিকীতে স্বামী-স্ত্রী মিলে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তাঁরা। শতাব্দী বলেন, তাঁদের দেহ পড়ুয়াদের গবেষণার কাজে লাগবে। চোখ, কর্নিয়া ইত্যাদি দিয়ে অন্যের জীবনরক্ষা হবে।