প্রতিবেদন : রাজ্যপালকে সরিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিতে মঙ্গলবার বিধানসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পেশ করেন দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস সংশোধনী বিল। রাজ্যপাল এই বিলে সই করবেন কি না তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলায় চন্দ্রিমা বলেন, সংবিধানে স্বাস্থ্য যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়। কেন্দ্রের মতো রাজ্যেরও অধিকার আছে আইন প্রণয়নের। এরপর কেউ যদি বলে সই করব না, তাহলে তিনি শিশুসুলভ আচরণ করবেন।
আরও পড়ুন-নিজের টাকায় স্কুলে জল প্রধানশিক্ষকের
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির অনুমোদনপ্রাপ্ত হলেও কোনও কেন্দ্রীয় অনুদান মিলছে না। তবে রাজ্য সরকার উদার হাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থ সাহায্য করছে। ২১-২২ সালে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫৫.৬৩ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০০৩ সালে বাম আমলে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই সব পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে চন্দ্রিমা বলেন, ২০০৩ থেকে ১১ পর্যন্ত মাত্র ৭৯টি কলেজ এর আওতায় ছিল। ২০১১ থেকে এপর্যন্ত তা বেড়ে ২২৯টি কলেজ হয়েছে। স্নাতক নিম্ন থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে ১৪৬টি কোর্স পড়ানো হয়। বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এই বিলের বিরোধিতা করেন।
আরও পড়ুন-আলুতে রঙ করা ঠেকাতে অভিযান
তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপালকে সরিয়ে আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার। বিরোধী বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, মকুটমণি অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, অম্বিকা রায় এই বিলের বিরোধিতা করলেও শাসক দলের নির্মল মাঝি, মধূসূদন ভট্টাচার্য, সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়রা বিলের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। আলোচনার শেষে ভোটাভুটিতে বিলটি সভায় গৃহীত হয়।