সংবাদদাতা, হাওড়া : কেন্দ্রের বঞ্চনা। ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কর্মসংস্থানের বিষয়ে আরও উদ্যোগী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগকে কার্যকর করতে এবার মানুষকে বিকল্প উপার্জনের দিশা দেখাচ্ছে হাওড়া কর্পোরেশন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মাধ্যমে প্রায় ৮-১০ হাজার মানুষকে টেলারিং, কম্পিউটার, বিউটিশিয়ানের মতো বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের উপার্জনের দিশা দেখাতে উদ্যোগী হল হাওড়া কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন-ইউজিসি টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে, রাজ্যই দিচ্ছে আর্থিক সহায়তা
এই ব্যাপারে উত্তর হাওড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে হাওড়া পুরনিগমের উদ্যোগে একটি সবসময়ের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের বিনা পয়সায় টেলারিং, বিউটিশিয়ান বা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের শেষে তাদের উপার্জনের ব্যবস্থাও করা হবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাওড়া পুর এলাকার শতাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রায় ৮৮ হাজার স্কুল ড্রেস তৈরি করছেন। এরপর পুলিশের ইউনিফর্ম, হাসপাতালের পোশাকও তৈরি করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এই কাজে যাতে তাঁরা দক্ষ হয়ে ওঠেন সেই উদ্দেশ্যেই হাওড়া কর্পোরেশন পুরোদমে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করছে।
আরও পড়ুন-নিজের টাকায় স্কুলে জল প্রধানশিক্ষকের
এই ব্যাপারে হাওড়া পুরনিগমের ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন। হাওড়া কর্পোরেশনের কর্তারা ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করতে কী কী পরিকাঠামোগত পরিবর্তন দরকার তা খতিয়ে দেখেন। এই মুহূর্তে হাওড়া পুর এলাকায় প্রায় ৮-১০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য রয়েছেন। তাঁরা সবাই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ট্রেনিং নিতে পারবেন। সৈকত চৌধুরি জানান, ‘‘শীঘ্রই আমরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করে দেব। স্কুল ড্রেস ছাড়াও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা আগামী দিনে পুলিশের পোশাক, হাসপাতালের জামাকাপড়ও তৈরি করে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রের তাঁদের দক্ষতার যাতে কোনও খামতি না থাকে সেই জন্যই আমরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করছি। যেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা সেলাই ছাড়াও বিউটিশিয়ান, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়েও স্বাবলম্বী হতে পারবেন।’’ তিনি আরও জানান, প্রশিক্ষণ নেওয়ার চাহিদা বাড়লে আরও ট্রেনিং সেন্টার খোলা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো।