ত্রিপুরার চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের নামে সকল থেকেই কার্যত প্রহসন চলছে। শুধু তাই নয় রাতভর বাইক বাহিনীর দাপাদাপি চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের উপর আক্রমণ। এমনকি সাথে রয়েছে বিরোধী পোলিং এজেন্টদের উপর হামলা। বুথে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে ভোটারদের ভোটদানে বাধা। বিজেপির গুন্ডারা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনওরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে দাবি তৃণমূলের তরফে। পুরভোটের মতই ছবি দেখা যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত বিধানসভা উপনির্বাচনেও।
আরও পড়ুন-কবজি-কাণ্ডের শিকার রেণু আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন, যাবজ্জীবন সাজা চান দোষীদের
টাউন বড়দোয়ালিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বুথে বিজেপির সন্ত্রাসের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক। অভিযোগ, তুলসি বাড়ি স্কুলে ভোটাররা সকাল থেকে লম্বা লাইন দিয়েছিলেন নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য। তাতেই হারের আতঙ্ক তৈরি হয় শাসক শিবিরের অন্দরে। এরপর ২৫ থেকে ৩০ জনের বিজেপির একটি বাইক বাহিনী এসে ভোটারদের হুমকি দেয়। ভোটদানে বাধা দেয়। সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে আক্রান্ত হয় এক চিত্র সাংবাদিককে। তাঁকে রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারা হয়। ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ৬, আগরতলা কেন্দ্রে প্রচুর বহিরাগতদের জমায়েত করেছে বিজেপি। অসম, মনিপুর থেকে গুন্ডা এনে বুথ দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যাতে ভোট দিতে বুথে আসতে না পারেন তার জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে বহিরাগত গুন্ডারা।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শোভন এবং বৈশাখী
যুবরাজ নগরের বিভিন্ন বুথেও সকাল থেকে লম্বা লাইন ভোটারদের। কিন্তু সেই লাইন ক্রমশ বাড়তে থাকলেও মানুষ ভোটদান করতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তাঁর দলের পোলিং এজেন্টের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মৃনালকান্তি দেবনাথ। যদিও তিনি মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে। এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছুটে গিয়ে পোলিং এজেন্ট বসিয়ে আসছেন তৃণমূল প্রার্থী।
এদিকে সুরমায় ভোটের আগের রাত থেকেই গেরুয়া সন্ত্রাসের বাতাবরণ। তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন নমশূদ্রের বাড়ি ঘিরে ফেলে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ড্রাইভার আক্রান্ত। পোলিং এজেন্টকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-রূপশ্রী রূপায়ণে পথিকৃৎ বীরভূম
সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় উপনির্বাচন কার্যত প্রহসনে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অনলাইন অভিযোগও গুরুত্ব পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে।