সিডনি, ২৭ অগাস্টঃ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর জীবন সঙ্কটে পড়েছিলেন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াই শেষে এখনও পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নন ক্রিস কেয়ার্নস। তবে হৃদযন্ত্রে জীবনদায়ী অস্ত্রোপচারের পর ক্ষতিগ্রস্ত কিউয়ি অলরাউন্ডারের দু’টি পা। পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন ৫১ বছর বয়সী প্রাক্তন তারকা। পুরোপুরি সুস্থ হতে লাগবে অনেকটা সময়। এমনটাই দাবি চিকিৎসকদের। যদিও সিডনির হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে ক্যানবেরায় নিজের বাড়িতে ফিরেছেন কেয়ার্নস। সর্বক্ষণ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের পয়লা নম্বর অলরাউন্ডার ছিলেন কেয়ার্নস। স্টিফেন ফ্লেমিং থেকে লি জার্মন, সব কিউয়ি অধিনায়কের ভরসা ছিলেন এই ডান-হাতি অলরাউন্ডার। সপ্তাহ তিনেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেই কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন তিনি। কিন্তু কেন এমন হল? পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কেয়ার্নসের শিরদাঁড়াতে স্ট্রোক হয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে দু’টি পা। আপাতত হুইল চেয়ারেই চলাফেরা করতে হবে তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন কেয়ার্নসের পরিবারকে। তাঁরা জানিয়েছেন, এখন নিয়মিত রিহ্যাব চালিয়ে যেতে হবে। চলবে ফিজিওথেরাপি। নিয়মিত আনতে হবে হাসপাতালে। পর্যবেক্ষণ ও রিহ্যাবের মাধ্যমেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব প্রাক্তন কিউয়ি তারকাকে।
আরও পড়ুন :ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসে ছাত্রসমাজের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূল নেত্রী
গত ১১ অগাস্ট সিডনির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সঙ্কটজনক অবস্থা ছিল কেয়ার্নসের। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে এলেও তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেল পরিবার ও অনুরাগীদের। প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬২ টেস্ট, ২১৫ ওয়ান-ডে ও দু’টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এক সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।