প্রতিবেদন : দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের (Afghanistan Earthquake) পাকতিকা প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পাশাপাশি বেড়েছে আহতের সংখ্যাও। অসমর্থিত সূত্রের খবর, বুধবার ভোররাতের এই কম্পনে (Afghanistan Earthquake) ১২০০-রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা নিয়ে এদিন নতুন করে কিছু বলা হয়নি। গোটা এলাকা স্বজনহারাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে। জখম বহু মানুষকেই ধ্বংসস্তূপ সরানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা নিকটাত্মীয়দের সন্ধান পেতে ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করছেন। বুধবার সকাল থেকেই তালিবান প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করলেও বিকেল থেকেই ওই অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এমনিতেই পাকতিকা প্রদেশটি অত্যন্ত দুর্গম পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত। তার উপর বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকারীরা পৌছতে পারছেন না। পাকতিকা প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মহম্মদ আমিন হুজাইফা সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে দুর্গত মানুষের জন্য প্রচুর সাহায্য আসছে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা থেকে নামা প্রবল বৃষ্টিতে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই পাকতিকা প্রদেশের রাস্তা অত্যন্ত দুর্গম। তার উপর ভূমিকম্পে বেশিরভাগ জায়গাতেই সেই রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছতে পারছে না। তাই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। দুর্গত মানুষের কাছে খাদ্য, বস্ত্র ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। মোবাইল টাওয়ারগুলি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। দুর্গত মানুষের জন্য তালিবান সরকার ১০০ কোটি আফগান মুদ্রা বরাদ্দ করেছে। বিভিন্ন দেশের কাছে সাহায্যের আর্জিও জানিয়েছে তালিবান প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পূর্ব ইউক্রেনে ক্রমশই বাড়ছে রাশিয়ার চাপ, কিয়েভের আবেদন নিয়ে বৈঠকে বসছে ই-ইউ