প্রতিবেদন : গত কয়েকদিনের একটানা প্রবল বৃষ্টিতে বাংলাদেশের বন্যা (Bangladesh Floods) পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের মেঘালয়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। এই দুই জেলায় হাজার-হাজার মানুষ আটকে রয়েছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দুর্গত মানুষের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছনোও সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ১৭ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ২১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন এবং রংপুর বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ৪২ জনের মধ্যে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। বন্যার কারণে কমপক্ষে ৪৫ লক্ষ মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন। বেশ কিছু মানুষের খোঁজ মিলছে না। বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে রয়েছে কমপক্ষে ১৬ লক্ষ শিশু।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের পর প্রবল বন্যা শুরু, ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ
বেশিরভাগ জলবন্দি এলাকায় খাবার ও পানীয় জল, ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলিও জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই বন্ধ মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা।
ইতিমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকাগুলি (Bangladesh Floods) হেলিকপ্টারে করে পরিদর্শন করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina)। তার পরই তিনি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বন্যা প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলায় সরকার বিশেষ জোর দেবে। না হলে প্রতি বছরই এভাবে মানুষকে দুর্গতিতে পড়তে হবে।