প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তাদের হাত নেই বলে বিজেপি যতই অসার দাবি করুক না কেন, আদতে সেটা যে সত্যি নয়, তা একের পর এক ঘটনায় দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মোদি- শাহর রাজ্যে গিয়ে মধ্যরাতে ফড়নবিশ- শিন্ডের একান্ত বৈঠকের পর এবার বিদ্রোহী শিবিরের ১৫ জন শিবসেনা বিধায়ককে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দিচ্ছে মোদি সরকার। এই সিদ্ধান্ত থেকেই পরিষ্কার, গেরুয়া দলই মহারাষ্ট্রের মহাসংকটের নেপথ্যে। মানি পাওয়ার, মাসল পাওয়ার, এজেন্সি ব্যবহার করে রাতারাতি শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের মুম্বই থেকে চুপিসাড়ে গুজরাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন বিজেপিরই দুই বিধায়ক।
আরও পড়ুন-বিজেপির কারসাজিতে জটিল, মহারাষ্ট্রে মহাসংকট
জানা গিয়েছে, ওয়াই প্লাস কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়াদের তালিকায় রয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়ক রমেশ বোরনারে, মঙ্গেশ কুড়ালকর, সঞ্জয় শিরসত, লতাবাই সোনাওয়ানে, প্রকাশ সুর্ভে-সহ ১৫ জন। তবে আপাত বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে ইচ্ছাকৃতভাবে এখনও নাম রাখা হয়নি একনাথ শিন্ডের।
সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়ক রবিন্দর চবন এবং বিধায়ক সঞ্জয় কুটে প্রথম থেকেই এই ঘৃণ্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। তাঁরাই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে পরিকল্পনা করে একনাথ শিন্ডে সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের প্রথমে মুম্বই থেকে গুজরাতের সুরাটে নিয়ে যান। সেখানে রিসর্টবন্দি বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের কোনওরকম মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন-লক্ষ্য একুশে জুলাই, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে লিখন
এমনকী, তাঁদের রিসর্টের বাইরেও যেতে দেওয়া হয়নি। সুরাট থেকে তাঁদের বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে নিয়ে যেতেও সাহায্য করেছিলেন এই দুই বিধায়ক। এই দুই বিধায়কই দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন এবং তাঁর বিশেষ আস্থাভাজন। দিন কয়েক আগে একনাথ শিন্ডে দাবি করেছিলেন, দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল তাঁকে সমর্থন করছে। শিন্ডে প্রকাশ্যে বিজেপির নাম না করলেও তার ইঙ্গিত যে বিজেপির দিকেই ছিল সেটা এখন সবার কাছেই স্পষ্ট। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতও সাফ জানিয়েছেন, শিন্ডের বিদ্রোহের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। বিদ্রোহীদের সতর্ক করে রাউত বলেছেন, তাঁরা যেন বিজেপির আদরযত্নে ভুলে না যান। কারণ প্রয়োজন মিটে গেলেই তাঁদের ছুঁড়ে ফেলতে এক মুহূর্তও সময় নেবে না ধূর্ত ভারতীয় জনতা পার্টি।