শারীরিক পরিস্থিতির এই মুহূর্তে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে কিংবদন্তী চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumder)। তাঁকে এসএসকেএম (SSKM)-এর ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট থেকে এবার উডবার্ন ব্লকের স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তরুণ মজুমদারের রাইলস টিউব খুলে দেওয়া হয়েছে। ট্রাকিওস্টোমি করা হয়েছে। নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য গলার পাশে একটি নল লাগানো হয়। কথা বলতে পারছেন না তিনি। কিন্তু স্পষ্ট ভাবে লিখে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করছেন৷
আরও পড়ুন-নূপুরে ‘নীরব’ মোদি: বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন পরিচালক। এছাড়াও ফুসফুসের সমস্যা ছিল তাঁর। আছে ডায়াবেটিসও। এর মধ্যেই সেপ্টিসেমিয়া ধরা পড়ে। শরীরে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। আচ্ছন্নভাবেই ছিলেন তিনি। তরুণ মুজমদারের চিকিৎসার জন্য অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক ডা: সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক ডা: সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রোলজিস্ট ডা: অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট ডা: সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক ডা: বিমান রায়ের একটি দল পরিচালককে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখেন। তরুণ মজুমদারকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। তরুণ মজুমদারকে দেখতে হাসপাতালে যান বাম নেতা বিমান বসু ও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা।
আরও পড়ুন-ললিপপ: অগ্নিপথ বিজেপির বড় দুর্নীতি, নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বয়স ৯০ পেরোলেও, ন্যুব্জ হননি তরুণ মজুমদার। গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁকে দেখা গিয়েছে বামদের প্রচার মঞ্চে। এবারও তিনি লড়াই করে ফিরে আসবেন বলে মনে করেন অনুরাগীরা।