নয়াদিল্লি : বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার যে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারতের সম্মান ধুলোয় মিশেছে, সেই মন্তব্য করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি মোদি সরকার। অথচ টেলিভিশন বিতর্কে বিজেপি নেত্রীর আপত্তিকর মন্তব্যটি সর্বপ্রথম যিনি নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন সেই সাংবাদিক মহম্মদ জুবের এখন জেলবন্দি। এটাই নির্লজ্জ বিজেপি সরকারের দ্বিচারিতা। প্রকৃত অপরাধীকে রক্ষা করা এবং প্রতিবাদীকে জেলে পোরা।
আরও পড়ুন-জি-৭ এর বিবৃতি আর মোদি সরকারের কাজে স্পষ্ট দ্বিচারিতা
ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট অল্ট-নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরের এই গ্রেফতারির কড়া নিন্দা করেছে এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার এডিটরস গিল্ড বলেছে, অল্ট নিউজের সতর্ক নজরদারির কারণে এক শ্রেণির মানুষের কায়েমি স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তাই তারা ক্ষুব্ধ। কারণ এইসব মানুষ ও তাদের সংগঠন মেরুকরণকে হাতিয়ার করে সমাজে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়। বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করে উগ্র জাতীয়তাবাদী মনোভাব দেখিয়ে সমাজে বিভাজন তৈরি করে। এসব বিষয়ই প্রকাশ্যে এনেছে অল্ট নিউজ। গিল্ড এদিন এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০২০ সাল থেকে চলা একটি মামলায় হঠাৎ করে এখন দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। যার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুরক্ষা পেয়েছিলেন। জুবের তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করার পরেও তাঁকে এখন কী কারণে গ্রেফতার করা হল?
আরও পড়ুন-জিএসটি বৈঠক
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জুবেরের করা একটি পোস্ট ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জুবেরের গ্রেফতারির নিন্দা করেছে ভারতের প্রেস ক্লাবও। অন্যদিকে গিল্ড দাবি করেছে, দিল্লি পুলিশ অবিলম্বে জুবেরকে মুক্তি দিক। জার্মানিতে জি -৭ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন অনলাইন ও অফলাইন মত প্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রাখার বিষয়ে ঘোষণাপত্রে সই করছেন, তখন স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য কীভাবে জুবেরকে আটকে রাখা যায়? গিল্ডের সভাপতি সীমা মুস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কাপুর এবং কোষাধ্যক্ষ অনন্ত নাথ এই বিবৃতিতে সই করেছেন।