জি-৭ এর বিবৃতি আর মোদি সরকারের কাজে স্পষ্ট দ্বিচারিতা

কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ধরনের প্রবণতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। কারণ গণতন্ত্রের জন্য সাংবাদিকদের কণ্ঠস্বর অপরিহার্য।

Must read

নয়াদিল্লি : নির্লজ্জ দ্বিচারিতা মোদি সরকারের। একদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করছেন প্রধানমন্ত্রী, তখন ভারতে চরম হেনস্তা ও গ্রেফতারির মুখে পড়ছেন সরকারের সমালোচক সাংবাদিক থেকে মানবাধিকার কর্মী।
জার্মানিতে ভারত সহ জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি যৌথভাবে সোমবার ‘২০২২ রেজিলিয়েন্স ডেমোক্রেসি স্টেটমেন্ট’ স্বাক্ষর করেছে। যেখানে সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা এবং অনলাইন ও অফলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই ঘোষণাপত্রের কয়েক ঘণ্টা পরেই উল্টো পদক্ষেপ কেন্দ্রের। জানা গিয়েছে, ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে ভারত সরকার একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে, যে অ্যাকাউন্টগুলিতে মূলত সরকারের বিরোধী ও সমালোচনামূলক বক্তব্য প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন-জিএসটি বৈঠক

সম্প্রতি জানা গিয়েছে, মোদি সরকার বিধায়ক জার্নেল সিং-সহ কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির একাধিক সদস্যের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল। একই সঙ্গে সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতাদের অ্যাকাউন্টগুলিও ব্লক করার জন্য সরকার ট্যুইটারকে অনুরোধ করেছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কৃষকনেতারা কেন্দ্রের মনোভাবের তীব্র নিন্দা করেছেন। এই মুহূর্তে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ ভারতের প্রায় একডজন অ্যাকাউন্ট ব্লক করে রেখেছে। সাংবাদিক রানা আয়ুব এবং সিজে ওয়ারলেম্যানের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করার জন্য মোদি সরকারের কড়া নিন্দা করেছে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি ফর প্রোটেকশন অফ জার্নালিস্টস।

আরও পড়ুন-জানালেন সুদীপ

কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ধরনের প্রবণতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। কারণ গণতন্ত্রের জন্য সাংবাদিকদের কণ্ঠস্বর অপরিহার্য। মোদি নিজে একদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাক স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করছেন, অন্যদিকে দেশে তাঁর সরকার মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে উদ্যত। এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন বিরোধী নেতানেত্রী থেকে নাগরিক সমাজের বিশিষ্টরা। আন্তর্জাতিক মহলেও সরকারের মনোভাব নিয়ে বিরূপ সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Latest article