প্রতিবেদন : নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বা মানুষের রায় নিয়ে সরকার গঠন করাই গণতন্ত্রের দস্তুর। কিন্তু জনাদেশ সঙ্গে না থাকলেও কীভাবে ছলে-বলে-কৌশলে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে হয়, মোদি জমানায় ভারতীয় রাজনীতিতে তার কুৎসিত দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে বিজেপি। বিজেপির এই কাজকে আদৌ ভাল চোখে দেখছে না বিরোধীরা তো বটেই, এমনকী বিজেপির একাংশও। বিজেপিরই একাংশ মনে করেন, মোদি সরকারের দু’নম্বর ব্যক্তি অমিত শাহের কৌশল বিজেপির জন্যেও পরে বুমেরাং হতে পারে।
আরও পড়ুন-বিহারে একক বৃহত্তম দলের তকমা হারাল বিজেপি, টপকে গেল লালুর দল আরজেডি
মহারাষ্ট্রে বিজেপির পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরব অন্যরাও। ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, ভয়ঙ্কর প্রবণতা। বিজেপি বিরোধী কণ্ঠস্বর বন্ধ করতে সব চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, বিজেপির আচরণে সন্তুষ্ট নন বন্ধু নীতীশ কুমারও। কংগ্রেসও প্রথম থেকেই বিজেপির ঔদ্ধত্যের কড়া সমালোচনা করেছে। এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, মহারাষ্ট্রে তিন দলের জোট ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে। কিছু সুবিধাবাদী, বিশ্বাসঘাতককে ইডি ও অন্য এজেন্সির ভয় দেখিয়ে ব্যবহার করেছে বিজেপি। তবে এত ছলচাতুরি করে সরকার গড়েও বিজেপি যে খুব আত্মবিশ্বাসী নয় তা শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করার ঘোষণাতেই স্পষ্ট।