সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: এবার রেলের এক ভয়ঙ্কর কুকীর্তির পর্দা ফাঁস! দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের খাবার বাথরুমের মধ্যে মজুত করে রাখা হচ্ছে। পরে সেই খাবারই যাত্রীদের পরিবেশন করছে রেল কর্তৃপক্ষ। যা দেখে কার্যত শিউরে উঠেছেন দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা। ১৩০০৯ আপ দুন এক্সপ্রেসের এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দই, জল ও ঠান্ডা পানীয়র বোতল কীভাবে রেল কর্তৃপক্ষ বাথরুমের মধ্যে মজুত করে রাখল সেই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। যাত্রী সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে যে রেলের বিন্দুমাত্র লক্ষ্য নেই এই ঘটনা তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
আরও পড়ুন-বিধান রায়কে অবমাননা বিজেপির
হাওড়া-দেরাদুনগামী দূরপাল্লা ট্রেনের প্যান্ট্রিকার লাগোয়া সংরক্ষিত কামরার বাথরুমে দইয়ের কাপ, জল ও বিভিন্নরকম পানীয় বোতল মজুত করে রাখা হয়েছিল। বাথরুমের ভেতর থেকে প্যান্ট্রিকারের কর্মীরা সেগুলি যাত্রীদের পরিবেশন করার জন্যে যখন বের করছিলেন তখনই তা অনেকের নজরে আসে। যাত্রীরা এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। যদিও ওই ট্রেনের প্যান্ট্রিকারের কর্মীরা যাত্রীদের বলেন এগুলি অন্যত্র রাখার জায়গা নেই বলেই বাথরুমে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা চাক্ষুষ করে ওই দই, জল বা ঠান্ডা পানীয়ের বোতল আর কোনও যাত্রী নেননি। এইরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে কী করে এই খাদ্যসামগ্রী ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল সেই প্রশ্ন তুলে সরব হন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘এর ফলে ওইসব খাবার কোনও যাত্রীই আর গ্রহণ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন-উপনিষদের ফরাসি অনুবাদ করেছিলেন দারাশুকো
এমনকী বাথরুমের ভেতর ওইসব জিনিসপত্র মজুত করে রাখার ফলে যাত্রীরা সেই বাথরুমও ব্যবহার করতে পারছিলেন না। যদিও এই বিষয়ে প্যান্ট্রিকারের কর্মীদের কোনও হেলদোল চোখে পড়েনি।’’ ওই দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা বলেন, টিকিটের দাম বাড়ালেও যাত্রীদের বিষয়ে রেল সম্পূর্ণ উদাসীন। নইলে যাত্রীদের খাবার কীভাবে বাথরুমে মজুত করে রাখতে পারল? বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। এই ব্যাপারে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, ‘‘যাত্রীদের খাবার কখনওই বাথরুমে মজুত করে উচিত নয়। বিষয়টি আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’