প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক বাজারে অতিরিক্ত দামের কারণে দেশের বাজারে তেলের জোগান কমেছে। পরিস্থিতি যাতে একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় তার জন্য এবার পেট্রোল-ডিজেল ও বিমানের জ্বালানির উপরেও রফতানি কর আরোপ করল মোদি সরকার। একইসঙ্গে দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলের উপরেও অন্তঃশুল্ক চাপিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-আয়কর দফতরের প্রেমপত্র পেয়েছি, শ্লেষ পাওয়ারের
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানের জ্বালানি ও পেট্রোলে লিটার প্রতি ৬ টাকা এবং ডিজেলে ১৩ টাকা কর ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ এই তিন জ্বালানি বিদেশে রফতানি করলে এই অতিরিক্ত কর দিতে হবে। পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৩ হাজার ২৫০ টাকা অতিরিক্ত কর দিতে হবে। দেশে প্রতি বছর ২৯ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল উৎপাদন হয়।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে তুলোধোনা উদ্ধবের, বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে শিবসেনার কেউ নন
এই বিপুল পরিমাণ তেলের উপর নতুন করে কর আরোপের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বছরে অতিরিক্ত আয় হবে ৬৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করায় রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে একাধিক দেশ। তাই রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যন্ত সস্তায় তেল কেনার সুযোগ পেয়েছে ভারত। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি তেল সংস্থাগুলি বিপুল পরিমাণ তেল কিনছে রাশিয়ার কাছ থেকে।
আরও পড়ুন-প্লাস্টিকমুক্ত অভিযান
সস্তায় কিনে এনে দেশে শোধন করার পর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তারা অনেক চড়া দামে বিক্রি করছে। অতিরিক্ত লাভের জন্য ওই সমস্ত সংস্থা উৎপাদনের বেশিরভাগটাই রফতানি করে দিচ্ছে। ফলে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থানের মতো রাজ্যে দেখা দিয়েছে জ্বালানির অভাব। পাশাপাশি এই সমস্ত সংস্থাগুলি তেল বেচে যে বিপুল আয় করছে তার একাংশ কর হিসেবে আদায় করতে চাইছে সরকার। সে কারণেই জ্বালানির উপর রফতানি শুল্ক চাপালো মোদি সরকার।