বিজেপিকে তুলোধোনা উদ্ধবের, বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে শিবসেনার কেউ নন

উদ্ধবের বক্তব্যেই পরিষ্কার, ক্ষমতার লোভে যাঁরা পিছন থেকে ছুরি মেরে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে ফেলে দিয়েছে, দলের চোখে তারা বিশ্বাসঘাতক৷

Must read

প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রের কুর্সি ত্যাগের পর শুক্রবার প্রথম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন শিবসেনা প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে৷ বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে যতই নিজেকে বালাসাহেব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ অনুগামী তথা শিবসেনার প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরুন না কেন, তিনি আদৌ এখন আর এই দলের কেউ নন৷ উদ্ধবের বক্তব্যেই পরিষ্কার, ক্ষমতার লোভে যাঁরা পিছন থেকে ছুরি মেরে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে ফেলে দিয়েছে, দলের চোখে তারা বিশ্বাসঘাতক৷ wশিন্ডে বা অন্য বিদ্রোহীদের সঙ্গে মূল শিবসেনা দলের আর কোনও সম্পর্ক নেই৷ উদ্ধব ঠাকরে এও বলেন, যাঁরা বলছেন এনসিপি–কংগ্রেসকে হঠিয়ে এখন বিজেপি–শিবসেনা সরকার গঠিত হয়েছে, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল বলছেন৷ কারণ, শিবসেনার সঙ্গে এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট এখনও অটুট রয়েছে৷ বিজেপি কৌশলে, অগণতান্ত্রিক কায়দায় কিছু বিশ্বাসঘাতকের সহায়তা নিয়ে সরকার গড়েছে৷

আরও পড়ুন-প্লাস্টিকমুক্ত অভিযান

শুক্রবার মহারাষ্ট্রের চলতি পট–পরিবর্তন নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, আড়াই বছর আগে বিজেপি কেন শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিতে অস্বীকার করেছিল সেটাই আমি বুঝতে পারছি না৷ কারণ, এখন সরকার ভেঙেও বিজেপি তো মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেল না! তাহলে অগণতান্ত্রিকভাবে সরকার ভেঙে দিয়ে ওদের কী লাভ হল? একইসঙ্গে নিজের দলের বিধায়কদের বিদ্রোহ নিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা হল গণতন্ত্রের পরিহাস৷ মানুষের রায় পদদলিত হয়েছে৷ একইসঙ্গে তাঁর আর্জি, গেরুয়া দল যেমন শিবসেনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তেমনভাবে তারা যেন মহারাষ্ট্রের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করে৷ প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর শিন্ডে সরকার মেট্রো কারশেড প্রকল্প আরিয়া কলোনি এলাকায় সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ঠাকরের কথায়, এটা ভুল সিদ্ধান্ত৷ এরফলে পরিবেশের বড় ক্ষতি হবে৷ নতুন সরকারকে আমার অনুরোধ, পূর্ববর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার জেদে তারা যেন মুম্বইবাসীর সমস্যা না করে৷ পরিবেশ সুরক্ষিত রাখাই হোক অগ্রাধিকার৷

আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গড়চুমুকে ইকো ট্যুরিজম

এরইমধ্যে সোমবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে একনাথ শিন্ডেকে৷ তার আগে শনিবারই বসছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন৷ স্পিকার পদের জন্য মনোনয়ন পেশ করা হবে৷ সোমবার আস্থাভোট৷ ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৫ জনের সমর্থন৷

Latest article