প্রতিবেদন : রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার নির্বাচন। এই নির্বাচনেই সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হয়েছে শিবসেনার দুই শিবির৷ ফলে স্পিকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে দেশের বাণিজ্যনগরীতে৷
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার পর আস্থাভোট পর্যন্ত আর অপেক্ষা করেননি উদ্ধব ঠাকরে। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন তিনি। সেইসঙ্গে বিধান পরিষদের সদস্যপদ ছাড়ার ঘোষণাও করেন৷ তবে রবিবার স্পিকার নির্বাচনে বিজেপি ও শিন্ডে জোটকে ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নন শিবসেনা সুপ্রিমো। শনিবার মহাবিকাশ আগাড়ির পক্ষ থেকে স্পিকার পদে প্রার্থী হিসেবে শিবসেনা বিধায়ক রঞ্জন সালভের নাম ঘোষণা করা হয়। এদিনই তিনি দলীয় নেতাদের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়ন পেশ করেন।
আরও পড়ুন-৬০-এ চৌরঙ্গী
অন্যদিকে রাজ্যের শাসক জোটের প্রার্থী হয়েছেন কোলাবার বিজেপি বিধায়ক রাহুল নরবেকর। রাহুলও এদিন মনোনয়ন পেশ করেন। পূর্ববর্তী সরকারের স্পিকার ছিলেন কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে। ফেব্রুয়ারিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর পাটোলে স্পিকার পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। অস্থায়ীভাবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডেপুটি স্পিকার তথা এনসিপি বিধায়ক নিহারি জিরওয়াল। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি আস্থাভোটের আগেই স্পিকার নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন। স্পিকার নির্বাচন ও আস্থাভোটের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল ঠাকরে শিবির। যদিও শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে শীর্ষ আদালতে। এদিকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে একনাথ শিন্ডেকে শিবসেনার সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কার করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে৷