প্রতিবেদন : বাংলায় আসছে বিনিয়োগ। তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। এককথায় বলা যায় বাংলায় শিল্প বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেই শিল্প সম্ভাবনা ও বিনিয়োগবান্ধব ভাবমূর্তি তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এরই অঙ্গ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাসভেগাসে সদ্যসমাপ্ত ৪২তম উত্তর আমেরিকা বাঙালি সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা ড. অমিত মিত্র। ১ থেকে ৩ জুলাই তিনদিনের ওই সম্মেলনে এরাজ্যের বিনিয়োগ নিয়ে দু’টি শিল্প সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন-২০২৪-এর নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের ভোট: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে তিনি উপস্থিত দর্শকদের সামনে শিল্প পরিকাঠামোর উন্নতিতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে তিনি তুলে ধরেন রাজ্যে ভারী থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্ভাবনাময়তার ছবি। একইসঙ্গে তিনি তুলে ধরেন রাজ্যের বিদ্যুৎ, পর্যটন, সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সম্ভাবনার কথা। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশের শিল্পপতিদের সামনে বক্তব্য রাখেন অমিত মিত্র। সেখানে তিনি তুলে ধরেন পরিকাঠামো ও মানবসম্পদের নিরিখে রাজ্যের শ্রেষ্ঠত্বের দিকগুলি। রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন-দেশে আগুন ছড়াচ্ছে নূপুর, কেন গ্রেফতার হবে না? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলায় নতুন শিল্প স্থাপনে তৈরি হয়েছে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক। পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে আরও একটি সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে। পযর্টনেরও নতুন নতুন এলাকা তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। শিল্প দফতরের কর্তাদের দাবি, যে উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার ওই অনাবাসী বাঙালি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল তা অনেকটাই সফল। সম্মেলনে উপস্থিত বহু অনাবাসী বাঙালি শিল্পপতি রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন। একইসঙ্গে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে শামিল হতেও উৎসাহী অনাবাসী বঙ্গ সন্তানরা। সম্মেলনের ফাঁকে কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল মেলিন্ডা পাভেকের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশের পারস্পরিক আদান-প্রদান বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।