লর্ডসের হার তাঁদের জন্য অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা। কিন্তু এই এক হারে তাঁদের দলের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। সাফ বলে দিলেন বিরাট কোহলি।
আরও পড়ুন-ডিসকাস থ্রোয়ে ব্রোঞ্জ বিনোদ কুমারের
লর্ডসে ইনিংস ও ৭৬ রানে হার। অবশ্যই বিশাল ব্যবধান। হেডিংলের হারে সিরিজ এখন ১-১। তবে বিরাট বলেছেন, ‘‘টপ লেভেলে টানা খেলতে খেলতে ক্রিকেটে এমন রেজাল্ট হয়ে যেতেই পারে। আমাদের বড় রান ছিল না বোর্ডে। তার উপর প্রতিপক্ষ যদি বড় রান তুলে দেয়, তাহলে ম্যাচে ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়ে“। তবে টেস্টের দ্বিতীয় দিন ভারত যেভাবে ফাইটব্যাক করেছে, তাতে বিরাট খুশি। কিন্তু চতুর্থ দিন মাত্র ৬৮ রানের মধ্যে তাঁদের বাকি আট উইকেট পড়ে যায়। ‘‘ইংল্যান্ড চতুর্থ দিন সকালে বল হাতে দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। ওদের বোলাররা খুব ভাল বল করেছে“। বক্তব্য ভারত অধিনায়কের।
এরপরই বিরাট বলে দেন, ‘‘লর্ডসে জেতা মানে যেমন সব ম্যাচ জয়ের গ্যারান্টি নয়, তেমনই লর্ডসের হারের পর সব ম্যাচেই আমাদের ব্যাটিং হুড়মুড় করেভেঙে পড়বে, তাও নয়“। তিনি মেনে নেন, এই হার তাঁদের দলকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ভারতীয় ড্রেসিংরুমে সবাই এতে ‘আহত’। কিন্তু এটাই আবার তাঁর দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।হেডিংলে ম্যাচের পর বিরাট চেতেশ্বর পূজারার প্রতি ফ্যানেদের অসহিষ্ণুতা নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বাইরের লোকেরা কারও সম্পর্কে অসহিষ্ণু হতে পারেন, কিন্তু দলের ভিতরে সবাই জানেন যে এসব ক্ষেত্রে সহিষ্ণুতা দেখানোই হল সঠিক পথ। তাই পূজারা যখন রানে ফিরলেন, ড্রেসিংরুমে তাঁরা স্বস্তি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-হাই জাম্পে রুপো জয় নিষাদ কুমারের
ওভালে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে চতুর্থ টেস্ট। বিরাট বলেছেন, আরও প্রবলভাবে এই টেস্টে হাজির হবেন তাঁরা। ‘‘আমরা লর্ডসের হারকে নেতিবাচক ঘটনা হিসাবে দেখছি না। বরং আরও উত্তেজক ক্রিকেট এই সিরিজে অপেক্ষা করে আছে এটা বলতে পারি“। বলেছেন বিরাট।