সংবাদাতা, শিলিগুড়ি: টানা বৃষ্টি সঙ্গে ধস। বিপর্যস্ত পাহাড়ের পরিস্থতি। রবিবার সকালেও একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। পড়ে গিয়েছে বাড়ি। রেললাইনে ধসের কারণে চালু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের বন্ধ হল টয়ট্রেন পরিষেবা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চালান যাবে না বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে। সেইমত রবিবার চলেনি টয়ট্রেন। হতাশ হয়েছেন বহু পর্যটক। শনিবার টয়ট্রেন এনজিপি থেকে দার্জিলিং পৌঁছাতে পারেনি। অপর ট্রেনটিও ফিরতে পারেনি দার্জিলং থেকে এনজিপি। দার্জিলংগামী ট্রেনটিকে গয়াবাড়ি থেকে এনজিপিতে ফেরত আনা হয়।
আরও পড়ুন- সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা
রেলসূত্রে খবর, মহানদী এবং গয়াবাড়ি স্টশেনের মাঝে ধসের কারণে লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই কারণেই ট্রেনগুলিকে ফেরানো হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গুনীত কউর বেলন, ‘লাইন মেরামতির জন্য আপাতত বন্ধ থাকবে পরিষেবা। তবে জয়রাইড চলবে।’ পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি চলছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পাহাড়ের রংটং, গয়াবাড়ি, তিনধারিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ধসে বিধ্বস্ত টয় ট্রেন পরিসেবা। রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে লগাতার। এই পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তার কারণে রবিবার থেকে আপাততঃ বন্ধ রাখা হলো নতুন ভাবে শুরু করা ভিস্তাডোম এসি কোচ যুক্ত টয় ট্রেন পরিসেবা। এনএফ রেলওয়ে অধিকারী নরেন্দ্র মোহন জানিয়েছেন পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ধসে পড়ছে পাহাড়। রাস্তার উপর বড় বড় বোল্ডার সহ মাটি কাদায় রাস্তা সহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ট্রেনের ট্র্যাক। রবিবার সকালে ফের ধস নামে কার্শিয়াঙের পাগলাঝোড়ায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। আটকে পড়ে গাড়ি। তিনধাড়িতে ধস পড়ে একটি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- বারাকপুরে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর উপরে হামলার চেষ্টা! আহত ৬ তৃণমূল কর্মী
পাশাপাশি, বৃষ্টির কারণে তিস্তায় বেড়েছে জলোচ্ছ্বাস। প্লাবিত হয়েছে পাশ্বাবতীর্ এলাকা। হাওয়া অফিসের তরফে জারি করা হয়েছে হলুদসতর্কতা। পাহাড়ে আবহাওয়ার পরিস্থিতি এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে আবাহাোয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। আজ সোমবার পর্যন্ত পাহাড়ের আবহাওয়া খারাপ থাকবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় রয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।