প্রতিবেদন : গত শুক্রবার দক্ষিণ জাপানের নারা শহরে এক নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় আততায়ীর গুলিতে খুন হয়েছিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ (Police) স্বীকার করল, শিনজোর (Shinzo Abe) নিরাপত্তায় যথেষ্টই গাফিলতি ছিল। ওই ঘটনার জেরে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা-সহ অন্য শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রবিবার জাপানের উচ্চকক্ষের ভোটগ্রহণ হয়। সেই নির্বাচনে যথারীতি বিপুল জয় পেয়েছে শিনজো আবের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটাই বদলে দিল ওরা
নারা শহরের পুলিশ (Police) প্রধান টোমাওকি ওনিজুকা জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আবেকে (Shinzo Abe) পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তায় শিথিলতা থাকার কারণেই আততায়ী আবেকে গুলি করতে পারে। পুলিশ আরও সতর্ক থাকলে আবেকে কখনও এভাবে প্রাণ হারাতে হত না। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা-সহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা ও মন্ত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শিনজোর মৃত্যুতে শোকের আবহের মধ্যে রবিবার জাপানের উচ্চকক্ষের ভোট গ্রহণ করা হয়। এদিন নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, শিনজো আবের শাসক দল এলডিপি ও জোট শরিক কোমেইতো বিপুল সংখ্যক আসনে জয়ী হয়েছে। উচ্চকক্ষের ২৪৮টি আসনের মধ্যে ১৪৬টিতে জয়ী হয়েছে শাসক জোট। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে অনেক বেশি। এই ফলাফলের ফলে প্রধানমন্ত্রী কিশিদার ক্ষমতা ২০২৫ সাল পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে গেল। স্বাভাবিকভাবেই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতির মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। দল বড় জয় পেলেও এই মুহূর্তে উৎসবে মাততে পারছে না এলডিপি। কারণ শিনজোর মৃত্যুতে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা শোকে মুহ্যমান। মঙ্গলবার শিনজোর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।