প্রতিবেদন : করোনার কারণে পালস অক্সিমিটার জিনিসটা সকলের কাছেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেন লেভেল নেমে যাওয়া বড় সমস্যা। তাই চিকিৎসকরা নিয়মিত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন। কোভিড আবহে এই যন্ত্রটি এখন বেশিরভাগ মানুষেরই ঘরে রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, যাঁদের গায়ের রং চাপা অর্থাৎ কালো বা বাদামি, তাঁদের ক্ষেত্রে এই যন্ত্র ঠিকভাবে কাজ করে না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, পালস অক্সিমিটার-এর মতো চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামগুলিও কি শুধু সাদা চামড়ার মানুষদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি?
আরও পড়ুন-নয়া সরকার গড়ার তোড়জোড় শ্রীলঙ্কায়, দেশ ছেড়ে পালানোর ছক বানচাল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর
এখানেও কি বর্ণবৈষম্য, যা অন্য বর্ণের মানুষদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত করছে? জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে এক গবেষণা চালিয়েছিলেন। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পালস অক্সিমিটারের ভুল ফলাফলের ফলে ‘ব্ল্যাক এবং হিস্পানিক’ কোভিড রোগীদের চিহ্নিত করা যায়নি। এই সব রোগীদের ডেক্সামেথাসোন এবং অ্যান্টিভাইরাল রেমডেসিভিরের মতো ওষুধের খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সময়মতো রোগ নির্ণয় না হওয়ায় তাঁদের অবস্থার অবনতি হয়। অক্সিমিটার ব্যবহার করে দেখা যায়, সেই রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন-ভারভারার জামিনের মেয়াদ বাড়াল কোর্ট
কিন্তু পরে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বেশ কম। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কালো চামড়ার মানুষের ক্ষেত্রেই অক্সিজেনের মাত্রায় হেরফের ধরা পড়েছে অক্সিমিটারে। যাঁদের গায়ের রং ফর্সা, তাঁদের ক্ষেত্রে অক্সিমিটারের ফলাফল ছিল অনেক বেশি সঠিক। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে কীভাবে আরও সঠিক ভাবে অক্সিজেনের মাত্রা নির্ধারণ করা যায়, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন গবেষকরা।