দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন: শান্তিনিকেতনের অ্যান্ড্রুজ পল্লিতে বর্তমানে বসবাসকারী শ্রীলঙ্কার আরচি পরিবারের মন এখন পড়ে আছে মাতৃভূমি সূদুর সেই দ্বীপরাষ্ট্রে। বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনে কথাকলি নৃত্য নিয়ে পড়তে এসে এখানেই বিয়ে করে পরিবার নিয়ে থেকে যান শ্রীলঙ্কার কালুতারা জেলার হরানা শহরের মেয়ে চাঁদনি কস্তুরী আরচি৷ ছেলে লাহিরু সাতসরেরও জন্ম কলম্বোতে৷ ২০১৯-এ শেষবার শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-শিশুশ্রমিক হিসেবে ব্রিটেনে এসেছিলাম, জানালেন ম্যারাথন কিংবদন্তি মো ফারা
শান্তিনিকেতনের অ্যান্ড্রুজ পল্লিতে থাকলেও দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে গোটা পরিবার উদ্বিগ্ন শ্রীলঙ্কায় থাকা বিপদাপন্ন আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে। দেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে চাঁদনি বলেন, ‘‘দিদি কলম্বোয় থাকেন। পেট্রোল কিনতে গেলে গাড়ি রেখে সারা রাত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’’ ছেলে লাহিরু জানান, ‘‘দুধ পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কায় মানুষজনের হাতে টাকা থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারছেন না৷ জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে৷’’ দেশের এই পরিস্থিতির জন্য সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থাপনাকেই দায়ী বলে মনে করছেন তিনি৷ বলেন, ‘‘ঠিক সময়ে সরকার ঠিক সিদ্ধান্ত নিলে এমন হত না।
আরও পড়ুন-কুমিরের পেট চিরে শিশু উদ্ধারের দাবি
পরিবারের সবার সঙ্গেই কথা হয়৷ তবে ওঁদের নিয়ে এখন খুবই দুশ্চিন্তায় আছি আমরা। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতির জন্য দায়ী দেশের সরকার। হাতে টাকা থাকলেও মানুষ কোনও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না৷ জ্বালানির এত দাম, কেউ কোথাও যেতেও পারছে না৷ দেশের মানুষ যদি আরও আগে থেকে সজাগ হত তাহলে ভাল হত। পরিস্থিতি এত ঘোরালো হত না। যাই হোক, দেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক চাই সকলেই। দেশের মানুষ, আমাদের আত্মীয়স্বজন ভাল থাকুন।’’