সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শুভেচ্ছাবার্তায় লিখেছেন আসুন সকলে মিলে রাজ্যের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করি। সবুজের অভিযানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই। উন্নয়ন ও সবুজায়নের মন্ত্রে আমাদের প্রিয় বাংলাকে আরও সমৃদ্ধশালী, গৌরবশালী করে তুলি। অরণ্য নিয়ে বাংলা যে গর্ব করতেই পারে, তথ্যই তার প্রমাণ দিচ্ছে। আজ কলকাতায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের বনমহোৎসব (Bonmohotsob)। আগামীকাল থেকে শুরু হবে জেলায় জেলায় উৎসব (Bonmohotsob) পালন ও বৃক্ষরোপণ। চলবে ২০ জুলাই অবধি। রাজ্য বনদফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, অরণ্য নিয়ে গর্ব করা যেতেই পারে। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় আসে, তখন রাজ্যে বনভূমির পরিমাণ ছিল ১৭.৭ শতাংশ। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ২১.৬১ শতাংশ। নতুন নতুন এলাকায় বনসৃজন করা হচ্ছে। এছাড়া ইতিমধ্যে সবুজশ্রী প্রকল্পে রাজ্যে ৫০ লক্ষ গাছের চারা লাগানো হয়েছে বলে তিনি জানান। শুধু অরণ্যসৃষ্টি নয়, অরণ্যভূমে জীববৈচিত্র রক্ষাতেও এগিয়ে বাংলা। সম্প্রতি পুরুলিয়ার সিমনি জাবর বনাঞ্চলে চিতাবাঘের অস্তিত্ব ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। রাজ্যের বনাঞ্চলে বেড়েছে বিভিন্ন পশুপাখির সংখ্যা। গড়া হয়েছে ১০টি ছোট ও মাঝারি জু। গত একবছরে সবচেয়ে বড় সাফল্য হল, আমফান ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে বিপুল ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তা পুনরায় বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা। সুন্দরবনে ২০ লক্ষ ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে। যার ফলে মিলেছে স্কচ পুরস্কার। বনদফতর জানিয়েছে, অরণ্যভূমিকে জীবিকার সঙ্গে যুক্ত করতেও সফল হয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বঙ্গে নারীশক্তির জাগরণ, জননেত্রীই কান্ডারি
রাজ্যে ৪৪৬৫টি বনপরিচালন কমিটি রয়েছে। যেগুলিতে ৫ লক্ষেরও বেশি পরিবার যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা গত একবছরে বনজ সম্পদ থেকে লভ্যাংশ পেয়েছেন ৪২ কোটি টাকা। অযোধ্যা পাহাড়, বান্দোয়ান, ঝাড়গ্রাম, ডুয়ার্স প্রভৃতি বনাঞ্চলে সবুজায়ন ঘটেছে দ্রুতগতিতে। এবার নতুন বনসৃজনে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রূপনারায়ণপুর বিভাগের পশ্চিম সার্কেলের গোয়ালতোড় রেঞ্জ।