মণীশ কীর্তনিয়া, দার্জিলিং: ‘‘আমার কাছে উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ বলে আলাদা কিছু নেই। আমার কাছে শুধু বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গ। মানুষ ভাল থাকুন, শান্তিতে থাকুন, উন্নয়নে সাহায্য করুন।’’ পাহাড় সফর সেরে বাগডোগরায় নেমে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘পাহাড়ে উন্নয়ন হবে, শিল্প হবে। প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আক্ষরিক অর্থেই পাহাড়ে নবজাগরণ।’’
আরও পড়ুন-ভারতীয় রুপিতে আন্তর্জাতিক লেনদেনের উদ্যোগ
এদিনই রাজ্যপালের কাছে জিটিএ-র কাউন্সিলররা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন। পাশাপাশি শিলিগুড়ি জেলা পরিষদে ঐতিহাসিক জয়ের পরে নেত্রীর নির্দেশে জেলা পরিষদেই সভাপতি, সহ সভাপতি-সহ অন্যদের নাম ঘোষণা করেন। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নতুন সভাধিপতি হলেন অরুণ ঘোষ৷ সহ-সভাধিপতি অভিনেত্রী তথা আদিবাসী নেত্রী রুমা রেশমি এক্কা৷ দলনেতা করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়কে৷
আরও পড়ুন-টালবাহানার পর পদত্যাগ সিঙ্গাপুরে গোতাবায়া, পরের লক্ষ্য দুবাই
পাহাড়ে তিনদিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালেও মুখ্যমন্ত্রী প্রাতর্ভ্রমণে বের হন। সঙ্গে চলে জনসংযোগও। রিচমন্ড হিল থেকে সিংমারির পথে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা পর্যন্ত রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চেয়েছেন। এর মধ্যেই আচমকা তিনি একটি খাবারের দোকানে ঢুকে মোমো বানানো শুরু করেন। মোমোতে পুর ভরে সিদ্ধ করতে দেন। এরপর সেই মোমো পরিবেশনও করেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের থেকে কেনেন গাছ। পাহাড়ে শান্তি-উন্নয়ন-একতার বার্তা দিলেন মমতা।