একের পর এক চলছে বৈঠক। রাজ্য নেতাদের দিল্লিতে ডাক পড়ছে। সংগঠনে দুই লবির এখন শক্তি পরীক্ষা চলছে। সবদিক বিবেচনার পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতে আজ, মঙ্গলবার ত্রিপুরায় বিজেপি মন্ত্রিসভায় বহুপ্রতীক্ষিত রদবদল হতে চলেছে । সূত্রের খবর, আজ মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন পাবিয়াচেরা বিধায়ক ভগবান দাস, সূর্যমনিনগরের রামপ্রসাদ পাল ও মজলিশপুরের সুশান্ত চৌধুরী। ত্রিপুরার রাজনীতিতে যাঁরা প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ ও তাঁর শিবিরের নেতা বলেই পরিচিত। স্পষ্টতই কেন্দ্রের নেতাদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বিপ্লব বিরোধী শিবিরের মাথা সুদীপ রায় বর্মন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের।
আরও পড়ুন- মঙ্গলবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
আগরতলার বিজেপি বিধায়ক তথা ত্রিপুরার অন্যতম সিনিয়ির লিডার সুদীপবাবুর ইচ্ছা ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ আশিস সাহার এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হোক। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেল। দলকে চাপে রাখতে দিন-দুয়েক নিজের লবির নেতাদের নিয়ে কর্মী সম্মেলনের ধাঁচে একটি অনুষ্ঠান করেন সুদীপ রায় বর্মন। রাজনৈতিক মহলের দাবি অনুযায়ী, সুদীপ দলকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর শক্তি প্রদর্শন বলা যায়। কিন্তু সুদীপের এই স্ট্র্যাটেজি খাটলো না। লবির লোককে মন্ত্রিসভায় পাঠাতে পারলেন না তিনি।
শুধু তাই নয়, ত্রিপুরায় যে বিজেপি বিরোধীদের উপর তান্ডব চালাচ্ছে সেকথাও মেনে নেন সুদীপ রায় বর্মন। প্রকাশ্যেই মন্তব্য করে বলেন, রাজ্যজুড়ে হামলা হুজ্জুতি বন্ধ হওয়া উচিত। অর্থাৎ, পরোক্ষে বিপ্লব দেব প্রশাসন ও পুলিশের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন সুদীপবাবু। তার পরও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আস্থা রাখছে বিপ্লব দেব শিবিরের উপর।
আরও পড়ুন- হারের দায় স্বীকার করতে মেরুদণ্ড লাগে, সৎসাহস নেই বিজেপির! তথাগতর টুইট নিয়ে তরজা
ফলে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এই বিষয়ে মনে করছে, এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্ত্রিসভার রদবদলের পর বিক্ষুব্ধ সুদীপ রায় বর্মনের বিজেপি তথা বিপ্লব দেবের প্রতি বিদ্রোহের মাত্রা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের প্রতি ক্ষোভ উগরে তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে দল ছাড়তে পারেন সুদীপ।