সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : হিংসার পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে একদা দুর্ধর্ষ কেএলও জঙ্গিরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরছেন। রাজ্য সরকারের দেওয়া চাকরি করে, পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছেন। স্বাধীন কামতাপুর রাজ্য ও কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে একসময় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল উত্তরবঙ্গ। জীবন সিংহের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও। দলে দলে যোগ দিয়েছিল উত্তরবঙ্গ তথা অসমের প্রচুর যুবক। বাম আমলে এই বিপথগামী যুবকদের মূলস্রোতে ফেরানোর কোনও চেষ্টা হয়নি। ২০১১-য় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠনের পর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নেন। অনেককে হোমগার্ডে চাকরি দেওয়া হয়। যাদের নামে একসময় লোকে কাঁপত, তারাই এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যস্ত। এমনকী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে কিছুদিন আগেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রাক্তন কেএলও জঙ্গি মধুসূদন দাস ওরফে টারজান। কুমারগ্রাম থানায় হোমগার্ডের কাজে নিযুক্ত কেএলও জঙ্গি মিহির দাস ওরফে মিল্টন বলেন, ‘‘২০১১-তে এই সরকার না এলে আমাদের জেলেই পচে মরতে হত। দিদি আমাদের জীবন বদলে দিয়েছেন। যে সব দাবি আদায়ের জন্য জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেছিলাম, তার বেশিরভাগ কাজই মুখ্যমন্ত্রী করে দিয়েছেন। ওঁকে প্রণাম জানাই।’’