বিজেপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি দার্জিলিং তৃণমূল কংগ্রেসের

Must read

সংবাদদাতা, দার্জিলিং : বিজেপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল দার্জিলিং তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজনৈতিক সমাধানের দাবি তোলা হয়েছে। নবনির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সাংসদ শান্তা ছেত্রী ও চেয়ারম্যান এল বি রাইয়ের পৌরোহিত্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই সুর ছিল ‘বিজেপি হঠাও পাহাড় বাঁচাও’। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পাহাড়ের বিজেপি সাংসদ ও দলকে জনবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তা ছেত্রী বলেন, আমাদের সাফ দাবি পিপিএস। অর্থাৎ পার্মানেন্ট পলিটিক্যাল সলিউশন বা স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান।

শান্তা ছেত্রী আরও জানান, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অন্তত ২৭বারের বেশি কেন্দ্র রাজ্য-সহ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছি। কিন্তু ১৯৮৯ সাল থেকে তৈরি হওয়া পাহাড়ের এই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান আজও হয়নি। চেয়ারম্যান এল বি রাই বলেন, যে কিছুদিন আগে অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ (ভারতী গোষ্ঠী) অনশনে বসে নাটক করল। এসবই কেন্দ্রীয় সরকারের মুখরক্ষা করতে চাল চালা হচ্ছে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে পাহাড়ের মানুষকে বারেবারে বঞ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সাংসদ রাজু বিস্তা ২০২১-এর নির্বাচনের আগে বলেছিলেন পাহাড় সমস্যার সমাধান হবেই। আর এবার বলছেন ২০২৪-এর নির্বাচনের সময় হবে। এসব বিজেপির খেলা। পাহাড়ের মানুষকে শুধু বঞ্চনা নয়, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দার্জিলিং হিল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র এল বি খাওয়াস।

আরও পড়ুন : বাংলা আবাস যোজনায় ঘর পেলেন গরীব মানুষরা

বস্তুত, পাহাড়ের মানুষ এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া মানুষজন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নিয়মিত রেশন পাওয়া। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন দার্জিলিং সমস্যার রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করে পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন। অর্থনীতির জোয়ার এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে। বাস্তবে সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার এগোলেও কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিতভাবে বাধা দিচ্ছে। যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব চান অবিলম্বে রাজনৈতিক সমাধান।

Latest article