প্রতিবেদন : ‘জল ধরো, জল ভরো’ রাজ্যের একটি প্রশ্নাতীত সফল প্রকল্প। এর সুফলও মিলছে প্রত্যাশিতভাবেই। এবারে কলকাতা এবং লাগোয়া অঞ্চলের মাটির নিচের নেমে যাওয়া জলস্তরকে আবার সঠিক মাত্রায় ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে কেএমডিএ। সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ইএম বাইপাসের ধারে ৫ কিমি এলাকাজুড়ে বৃষ্টির জল ভূগর্ভে পাঠিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য সাহায্য নেওয়া হচ্ছে মুম্বইয়ের একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার। প্রসঙ্গত, পূর্ব কলকাতার জলাভূমির পরিবেশ রক্ষা এবং বিস্তীর্ণ এলাকাকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। জলাভূমির জবরদখল রুখে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে মাছ চাষের।
আরও পড়ুন-বিজেপি সভাপতির মন্তব্যে ক্ষোভ মাড়োয়ারি সমাজের
পর্যটকদের বিনোদনের জন্য হাউসবোটেরও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীকে। মাটির নিচে জলস্তর রক্ষার যে প্রকল্প কেএমডিএ নিয়েছে তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে উল্টোডাঙা থেকে চিংড়িঘাটা পর্যন্ত বাইপাসের ধারে একটানা ৫ কিমি দূরত্ব। কেন বেছে নেওয়া হল এই এলাকা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন উল্টোডাঙার সার্কুলার ক্যানাল এবং চিংড়িঘাটার ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের মাঝে এই ৫ কিমি এলাকা জুড়ে স্টর্ম ওয়াটার বা বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের কোনও পথ নেই। তাই এই এলাকার বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে কৃত্রিম উপায়ে তা মাটির নিচে ঢুকিয়ে দিলে নেমে যাওয়া জলস্তর ফিরে পাবে নিরাপদ উচ্চতা। তার আগে দূষণ প্রতিরোধ করতে কৃত্রিম উপায়ে ফিল্টারের ব্যবস্থাও থাকছে। এই প্রকল্প সফল হলে অন্যান্য জায়গাতেও একইভাবে নিরাপদ জলস্তর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন কেএমডিএ অফিসাররা।