প্রতিবেদন : অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে মাত্র ৫ দিন আগে বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৬ জুলাই মোদির উদ্বোধন করা সেই বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ বৃহস্পতিবার ধসে পড়ল। যথারীতি বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিপুল টাকা খরচ করে তৈরি এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে কীভাবে ধস নামল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল বিজেপির মদতেই ঠিকাদাররা অত্যন্ত নিম্নমানের মালমশলা দিয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছে। সে কারণেই এই ধস।
আরও পড়ুন-কেরলে সোয়াইন ফ্লু
উল্লেখ্য, এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বরুণ ট্যুইট করেছেন, ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এক্সপ্রেসওয়ে যদি পাঁচদিনের মধ্যে ধসে পড়ে তবে তার গুণমান নিয়ে তো প্রশ্ন উঠবেই।
জানা গিয়েছে, সালেমপুরের কাছে ছিরিয়ায় বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের উপর এক বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই ধসের কারণে বুধবার রাতে সেখানে দু’টি গাড়ি এবং একটি মোটরবাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অওরাইয়ার অজিতমলের কাছেও এক্সপ্রেসওয়েতে গর্ত তৈরি হয়। প্রশাসনিক গাফিলতি ধামাচাপা দিতে ইতিমধ্যেই মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে আমজনতা সকলেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে।
আরও পড়ুন-নারীদিবস উদযাপন, কে-২ শৃঙ্গে পা রাখলেন ৮ মহিলা
উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূটের ভারতকূপ থেকে এটাওয়ার কুদরেলে দ্রুত পৌঁছনোর জন্য ২৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ৭টি এবং মধ্যপ্রদেশের ৬ টি জেলা বুন্দেলখণ্ডের অন্তর্গত। এই অঞ্চলে বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং দুধজাত দ্রব্য উৎপাদন শিল্পের প্রসার ঘটাতেই তৈরি করা হয়েছে বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা চালু হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই যেভাবে তাতে ধস নেমেছে তাতে প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে এই রাস্তা তৈরি করা হল। মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় বিজেপি। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, শাসক দলের মদতেই ঠিকাদাররা অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে। প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা গিয়েছে গেরুয়া দলের ঝুলিতে। যা খরচ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগ নিয়ে কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে পারেনি বিজেপি।