সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : শ্রাবণের শুরুতে দেখা মিলল ইলিশের (Ilish Fish)। গুরুপূর্ণিমার সময় নিম্নচাপের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। সেইসময় তিন দিন সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য দফতর। দুর্যোগ কাটার পরেই গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল সুন্দরবনের প্রায় তিন হাজার ট্রলার। প্রতিটি ট্রলারের মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে রুপোলী শস্য। গত কয়েক দিনে কাকদ্বীপ (Kakdwip), নামখানা (Namkhana), ফ্রেজারগঞ্জের (Frejargunj) ঘাটে প্রায় ১৫০ টনের বেশি ইলিশ (Ilish Fish) এসেছে। সমুদ্র থেকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফেরার জন্য রওনা দিয়েছে বহু ট্রলার। মাছের জোগান বাড়লেই দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে মত মৎস্যজীবী ইউনিয়নগুলির। চলতি সপ্তাহ থেকে রাজ্যের বাজারে ইলিশের জোগান বেড়েছে। মাছের ওজনও বেশ ভাল। এবার মরশুম শুরু হয়েছিল ১৫ জুন থেকে। তারপর থেকে সমুদ্রে গিয়ে কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। লোকসানের মুখে পড়ে ট্রলারগুলি। তবে চলতি সপ্তাহে জালে ভাল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ায় গত তিন বছরে ইলিশের খরা কাটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মত ইউনিয়নগুলির। সুন্দরবন (Sundarban) সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, অবশেষে জালে ধরা পড়েছে ভাল পরিমাণ ইলিশ। সমুদ্রের আবহাওয়াও অনুকূল। আশা করছি এবার ইলিশের খরা কাটতে চলেছে। ইলিশের (Ilish) আমদানি বাড়লে দাম কমবে। বাংলার সব মানুষ ইলিশ কিনতে পারবে। এবার রসনাপ্রিয় বাঙালির জমিয়ে ইলিশের নানান পদ খাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।