প্রতিবেদন : পুরনো নথি খুঁজে বের করতে গলদঘর্ম হওয়ার দিন শেষ। এবারে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে নথি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। এই লক্ষ্যেই গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল এলাকাজুড়ে অত্যাধুনিক গোডাউন। এরমধ্যেই থাকবে রেকর্ডরুম এবং আর্কাইভ। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) ৯ নম্বর বরো এলাকায় বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের ধারেই আছে হিন্দু কবরখানা। সবমিলিয়ে প্রায় ৪৯ বিঘে জমি। নেচারপার্কের কাছেই এই জমিরই একটি বড় অংশ জুড়ে গড়ে উঠতে চলেছে পুরসভার রেকর্ডরুম। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিজি সিভিল পি কে দুয়াকে। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। এখন কেন্দ্রীয় পুরভবনে মূল রেকর্ডরুমে নথির পাহাড়। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে দরকারের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না বহু জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি। বাম আমল থেকেই ব্যাপারটা কেমন যেন ঘেঁটে রয়েছে। প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় নথি মিলেমিশে একাকার। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে তালাবন্দি ঘরে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে কোনও জরুরি সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা এই অব্যবস্থার পরিণতিতে থমকে দাঁড়াচ্ছে। ফাইলের ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যান, নকশা। এই অবস্থা থেকে এবারে মুক্তি পেতে চাইছে পুরসভা। এবারে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা হবে যাবতীয় নথি। যেগুলির আপাতত প্রয়োজন নেই কিংবা নিয়মিত কাজে লাগে না, সেগুলিকে ঝাড়াই-বাছাই করে পাঠানো হবে প্রস্তাবিত নতুন রেকর্ডরুমে। থাকবে আর্কাইভে। অন্যদিকে যেসব রেকর্ড ঘনঘন প্রয়োজন হয়, সেগুলি থাকবে কেন্দ্রীয় পুরভবনেই। নথি বাছার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রতিটি বিভাগের কন্ট্রোলিং অফিসারদের। সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে ফাইলগুলিকে ভাগ করা হবে ক্যাটেগরি অনুযায়ী। তারপরে বাক্সবন্দি করে সংরক্ষণের পালা। পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করবে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি। আর্কাইভ সামলাবেন বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কর্মীরা। এরফলে কেন্দ্রীয় পুরভবনের উপরেও চাপটা নিঃসন্দেহে কিছুটা কমবে বলে আশা পুরকর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: নীরজকে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর