নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : সংসদে বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিনেও সংসদ সরগরম হল মুদ্রাস্ফীতি, রান্নার গ্যাস ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুগুলি নিয়ে। সকালে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। সমস্ত আলোচনা এবং কাজ বন্ধ রেখে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে ২৬৭ ধারায় নোটিশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন-‘টকিং ডল’ বলছে প্লাস্টিক-বিপদের কথা
লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা এদিন জিএসটি, মূল্যবৃদ্ধি সহ জনস্বার্থের ইস্যুতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। সমস্ত বিরোধী দলই এদিন মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে প্রতিবাদ দেখায়। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন জানিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যে পর্যায়ে যাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার বলেছিল এই ইস্যুতে আলোচনা হবে, কিন্তু তা না করে তারা বিল পাশ করাতে ব্যস্ত। বিরোধীদের কাজই হল সাধারণ মানুষের হয়ে সংসদে সওয়াল করা। আমরা আমাদের সেই কাজটাই করে যাব। সভার কাজে বাধাদানের অভিযোগ তুলে এদিন কংগ্রেসের চার সাংসদকে পুরো অধিবেশনে জন্য সাসপেন্ড করা হয়।
আরও পড়ুন-‘টকিং ডল’ বলছে প্লাস্টিক-বিপদের কথা
নতুন রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণের পর দুপুর ২টোয় সভা শুরু হতেই রান্নার গ্যাস ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিরোধী সাংসদরা। এর আগে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সংসদে কোনও পোস্টার নিয়ে আসা যাবে না। এরপরেই পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় কংগ্রেসের মনিকাম টেগোর, জোথিমানি, রম্য হরিদাস এবং টি এন পাথাপানকে। প্রথমে দুপুর ৩টে পর্যন্ত সভা মুলতুবি করা হয়। তবে ২০ মিনিট পরেই পুরো দিনের জন্যই মুলতুবি করে দেওয়া হয় সভার কাজ।
আরও পড়ুন-রামপুরহাটে পানীয় জল ও গণশৌচালয় ব্যবস্থা
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেন, যাতে প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করা সাংসদদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাঁর দাবি, একমাত্র কঠোর পদক্ষেপ করা হলে, তবেই এই চিত্রের বদল করা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার সকালে সংসদ শুরুর আগে বিজয় চকে ধরনা বিক্ষোভ করবেন তৃণমূল সাংসদরা। প্যাকেটবন্দি মুড়িতে জিএসটি বসানোর মতো জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির সামনে ধরনা হওয়ার কথা৷ এদিন বিরোধীরা দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে আসুন এবং মুদ্রাস্ফীতি, জিএসটির হার বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ইস্যু নিয়ে আলোচনায় অংশ নিন।