সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : চারটি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের চারটি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে চারটিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী আটজন সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে শপথ গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে মাটিগাড়া ব্লকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ ও সহ-সভাপতি রমা রেশমি এক্কা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করবেন। সোমবার ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও উপপ্রধান হিসেবে ৪২ জন শপথ গ্রহণ করেছেন। দার্জিলিং (Darjeeling) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের নাম আগেই ঘোষণা করেছিলেন সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ ও চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানদের নাম খামবন্দি অবস্থায় অবজারভাররা পৌঁছে দেন প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে। সোমবার শপথ করেন প্রধান ও উপপ্রধানরা। তবে ২২টির মধ্যে ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হলেও শুধুমাত্র বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি। কারণ এখানে প্রধানের আসনটি তফসিলি জাতির মহিলার জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের যাঁরা জয়ী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে তফসিলি জাতির মহিলা কেউ নেই। তাই এদিন এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ফাঁসিদেওয়া এক গ্রাম পঞ্চায়েত ও আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের ঠিক করা প্রার্থীর বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) কিছু সংখ্যক কর্মী। আঠারোখাইতে পিঙ্কি মণ্ডল নামে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধেই প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন প্রধান পদের জন্য। কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছেন। এই দুই জায়গার ক্ষেত্রে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘দলের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ইতিমধ্যে রাজ্য নেতৃত্বকে এই বিষয়গুলি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে চিঠি আইনজীবীদের