প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশে বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা নিয়ে যোগী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কাউল ও এমএম সুন্দ্রেশের বেঞ্চ জানিয়েছে, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন তাঁরা। যেভাবে যোগীরাজ্যে মামলার পাহাড় জমেছে এবং অসংখ্য বিচারাধীন বন্দি বছরের পর বছর জেলে কাটাচ্ছেন তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-মেঘালয় ইস্যুতে সংসদে বিক্ষোভে দল
বিচারপতি কাউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং এলাহাবাদ হাইকোর্ট সব ক্ষেত্রেই সমস্যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনির্দিষ্টকাল ধরে এভাবে কাউকে বন্দি রাখা যায় না। জানা গিয়েছে, বিচারের আশায় গত ১০ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের জেলে রয়েছেন ৮৫৩ জন। সকলেই বিচারাধীন বন্দি। তাঁগের আবেদন অমীমাংসিত। গত ১২ বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের জেলে বন্দি থাকা এক ব্যক্তি এলাহাবাদ হাইকোর্টে একাধিকবার শুনানির আর্জি জানিয়েও তারিখ পাননি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই বিচারাধীন বন্দির পরিবার। এই মামলার সূত্রেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের সিলমোহর পড়ল রাজ্যের রিপোর্টে, কালাজ্বর মুক্ত জেলা মালদহ
এমনকী যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতিরা বলেছেন, দ্রুত সব অপরাধের মামলাকে বিবেচনা না করা হলে দীর্ঘ সময় বিচারাধীন বন্দি থাকা ব্যক্তিদের সবাইকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে। এর আগে উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১০ বছর ধরে মামলা চলছে এমন ৩৫০ জন বন্দির মামলার আবেদন শোনা বাকি রয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বন্দি থাকা ১৫৯ জনের মামলার শুনানি বাকি। এমাসের ১৭ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ৬২ জন বন্দির জামিনের আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।