নয়াদিল্লি : মামলা কয়েক হাজার। আর সেই তুলনায় দোষী প্রমাণ হওয়ার হার অতি নগণ্য। কেন্দ্রের তথ্যেই সামনে এল আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে ইডির কাজের খতিয়ান। জানা গিয়েছে, গত ১৭ বছরে দেশে আর্থিক তছরুপের ৫,৪২২টি মামলা হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক মামলার নিরিখে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা মাত্র ২৩। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পারফরম্যান্স নিয়ে লোকসভায় লিখিত প্রশ্নের জানিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন-বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা নিয়ে যোগী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
কেন্দ্রের অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরী জানান, ২০২০-২১ আর্থিক বছরেই পিএমএলএ অর্থাৎ আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের আওতায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অর্থ পাচার ও তছরুপ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ৫,৪২২। সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭০২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কয়েক হাজার মামলা হলেও দোষী প্রমাণ হওয়ার সংখ্যা অতি নগণ্য, সংখ্যাটা মাত্র ২৩।
আরও পড়ুন-মেঘালয় ইস্যুতে সংসদে বিক্ষোভে দল
লোকসভায় দেওয়া কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে পিএমএলএ-র আওতায় মামলার সংখ্যা ২২১। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা ছিল ২০৯। অন্যদিকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মামলার সংখ্যা বেড়ে হয় ৯৮১। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মামলার সংখ্যা ১,১৮০। এর পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনেও (ফেমা) প্রায় সাড়ে ৫ হাজার দুর্নীতির মামলা চলছে। সব মিলিয়ে মামলার সংখ্যা যা, তার তুলনায় সাফল্যের হার কার্যত ‘পর্বতের মূষিকপ্রসব’, তা এবার জানিয়ে দিল সংসদে পেশ হওয়া মোদি সরকারের তথ্যই। নিশ্চিতভাবেই একে হাতিয়ার করবেন বিরোধীরা।